দমদম ক্যান্টনমেন্টে থাকেন রিচার্ড সুজিত গোমস। করোনা আক্রান্ত হয়েও শেষমেশ ধন্যবাদ দিচ্ছেন করোনাকে। তার কারণ আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি।
শুনতে ভারী অদ্ভুত লাগছে! সারা বিশ্বের মানুষ যেখানে কোভিডের ভয়ে কন্টকিত, সেখানে এই ভদ্রলোকের এমন উক্তি কেন? তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনাতেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
পেশায় রাঁধুনি রিচার্ড সুজিত গোমস আফগানিস্তানের হেলমান্দ-এর এক ক্যাটারিং সংস্থার হয়ে রান্নার কাজ করতেন। খাবার তৈরি হত আমেরিকান সৈনিকদের জন্য। চাকরি যে খুব সুখের ছিল তা নয়, একরকম বন্দী জীবনই বলা চলে। তাও একটু ভালো রোজগারের আশাতেই দেশ ছেড়ে বিদেশ গিয়ে ওই কাজ বেছে নেওয়া।
কন্ট্র্যাক্ট অনুযায়ী ৫ বছর অন্তর দু-তিন মাসের ছুটি, একমাত্র তখনই স্বদেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। এবারেও তিন মাসের ছুটি নিয়ে জানুয়ারি মাসে বাড়ি এসেছিলে সুজিত। ছুটি শেষে এপ্রিলেই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল, হয়তো চলেও যেতেন আফগানিস্তানে। বাধা দিল করোনা।
ফ্লাইটে ওঠার জন্য আবশ্যকীয় RTPCR টেস্ট করাতে গিয়েই সুজিতের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। বাধ্য হয়েই যাত্রা ক্যান্সেল করতে হয়।
এখন আফগানিস্তানের অশান্ত পরিস্থিতি দেখে করোনা হওয়াকেই ধন্যবাদ দিয়ে বলছেন সুজিত,”ভাগ্যিস আমার করোনা হয়েছিল! তাই যেতে হলনা। গেলে কি আর এই পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে পারতাম!”
সুজিত জানিয়েছেন, সেরে গিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট পাঠানোর পরেও আফগানিস্তানের ওই ক্যাটারিং সংস্থা তাকে আর কাজে ফেরত যেতে ডাকেনি। সম্ভবত এই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই আর ডাকা হয়নি তাঁকে।
রোজগারে টান পড়লেও দুই সন্তান ও স্ত্রী স্নিগ্ধাকে নিয়ে সুজিত নিজের দেশের ঘরে আপাতত শান্তিতে রয়েছেন।