২০২২-এ আবার ভোলবদল করে নতুন রূপে দেখা দিতে পারে করোনা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ এমনটাই মনে করছেন।
একেই আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন মানুষজন। ভ্যাকসিনেশনের হার বাড়াতে বলা হচ্ছে সব তরফেই। এরই মধ্যে আবার এক সাবধান বার্তা দিলেন জুরিখের এক বিশেষজ্ঞ ।
জুরিখের ইমিউনোলজিস্ট প্রফেসর সাই রেড্ডি বলছেন – করোনার এই মূহুর্তের স্ট্রেনগুলো মিলেমিশে ভাইরাসের আরও এক নতুন ধরণ তৈরি হতে পারে সামনের বছর। এই নতুন ভাইরাসের ধরণকেই চিহ্নিত করা হচ্ছে ‘কোভিড ২২’ হিসেবে, যা ‘ডেল্টা’র চেয়েও ভয়ংকর রূপ নিতে পারে। প্রফেসর রেড্ডির দাবি, সত্যিই যদি এ ধরণের কোনো ভাইরাস আসে তাহলে তার জন্য আগে থাকতেই প্রস্তুত হওয়া দরকার। চাই আরও উন্নতমানের ভ্যাকসিন যা এই ভাইরাসকে সমূলে বিনাশ করবে।
তাঁর এই কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর ক্রিস স্মিথ। তিনি আরও একবার সচেতন করে বলেন “ এখনও মহামারী শেষ হয়নি। সংক্রমণ কমলেও নতুন রূপে ফিরে আসছে বারবার। ভুললে চলবেনা, একটি দেশের ছোট এক শহরের মাত্র একজনের দেহ থেকে শুধু সেই দেশ নয় সারা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়েছিল”।
প্রসঙ্গত মনে করা যেতে পারে – ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর চীনের উহান প্রদেশে একজনের শরীরে সর্বপ্রথম নভেল করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছিল (WHO)।
তবে এর জন্য চিন্তিত হলেও আশা হারাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। টিকাকরণের ওপরই ভরসা রাখতে বলছেন। ঢেউ যতই তীব্র হোক, লড়াইয়ে একমাত্র অস্ত্র উন্নত মানের ভ্যাক্সিন। তাই সচেতনতার পাশাপাশি মেডিকেল টিম ও ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের ওপরই আপাতত আস্থা রেখে চলতে হবে।