বিরাট কোহলিকে অধিনায়ক পদ থেকে অপসারণ নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। এতদিন বিসিসিআই এবং সৌরভ গাঙ্গুলী ছাড়া বিরাটের তরফ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছিলনা। গত বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনেই প্রথম বোমাটা ফাটালেন বিরাট। আর তারপর থেকেই সৌরভ গাঙ্গুলীকে ধরবার চেষ্টা করছিলেন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। অনেক জোরাজুরির পর শেষে মুখ খুললেন সৌরভ।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর আচমকাই একদিনের ক্রিকেট থেকেও বিরাটকে সরিয়ে অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মাকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
যদিও বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিরাটকে অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করেছিলেন। যে বক্তব্য নিয়ে যথেষ্ট সংশয় প্রকাশ করে, সৌরভের বক্তব্য অস্বচ্ছ বলে নিজে বিবৃতি দিয়েছিলেন বিরাট কোহলির ব্যক্তিগত কোচ রাজকুমার শর্মা। বিরাটকে আচমকা সরানো অত্যন্ত অন্যায় বলে বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন রাজকুমার।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরাট কোহলিও এই বক্তব্যই প্রকাশ করেন। তিনি জানান,”বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছিল। বিসিসিআইকে আমি জানিয়েছিলাম টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাই। ওরা সেটা মেনে নেয়। সেই সময়ই আমি জানাই যে, টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করব।আমার দিক থেকে আমি পরিষ্কার ছিলাম। কিন্তু বোর্ডের কর্মকর্তারা হয়তো সেটা ভাবেননি।”
উল্লেখ্য, বিরাটের ছোটবেলার ব্যক্তিগত কোচ রাজকুমার শর্মাও লাইভে জানিয়েছিলেন যে, ‘বিরাটকে বারণ করার কোনও কথা তিনিও শোনেননি। একই সঙ্গে এটাও দাবি করেন, যেদিন বিরাট টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক পদ ছাড়ছে, সেদিনই ওকে জানানো উচিত ছিল সাদা বলের কোআও ফরম্যাটেই ওকে আর অধিনায়ক হিসেবে রাখা হবেনা।’
এদিন বিরাটের বক্তব্যও অনেকটাই সেদিকে ইঙ্গিত করল। বিরাটের সাথে বোর্ডের বিতর্ক নিয়ে ভীষণ অখুশি ভারতীয় ক্রিকেট দলের একসময়ের অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার। এই বিষয়ে মতামত জানিয়ে তিনি বলেছেন, “কোহলির বক্তব্যে অকারণে বোর্ডকে টানার দরকার নেই। ও একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে কথাগুলি বলেছে, যে দাবি করেছিল তাঁর সঙ্গে কোহলির কথা হয়েছে। সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট, তাই ওঁকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত কেন দুজনের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে।”
তবে বিরাট কোহলি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর সৌরভকে ধরা যাচ্ছিলনা বলেই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়। অবশেষে আজ দুপুরের পর সৌরভ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। প্রথমে কোনওরকম মন্তব্য করতে না চাইলেও, সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এটা খুবই স্পর্শকাতর একটা বিষয়। আলোচনা চলছে। এটা নিয়ে বোর্ড যা ব্যবস্থা নেওয়ার, ঠিক সময়েই নেবে। ”
এছাড়া বিতর্ক নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য প্রকাশ করতে রাজি হননি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।