২০২৪এ ‘খেলা হবে’ বলে বিজেপিকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা। ২৮শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠা দিবসে দেওয়া ভার্চুয়াল ভাষণে ক্ষমতা দখলকে সামনে রেখে “টিট ফর ট্যাট” শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সমস্ত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ের জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
বলেন,’বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধতে হবে।এদিন ছাত্রছাত্রীদের জন্য একাধিক ইতিবাচক কর্মসূচির ঘোষণা ছাড়াও ভাষণে লক্ষ্য হয়ে উঠল দিল্লি দখল। সেই সূত্র ধরেই উঠে এল ইডি প্রসঙ্গ। শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁ স্ত্রী রুজিরাকে কয়লা কান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেপ্টেম্বরের গোড়ায় দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলেছে ইডি(এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট)।
অভিষেকের আইনজীবি সঞ্জয় বসুকেও তলব করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও পাল্টা সরব হন। এসব যে কেন্দ্রের অঙ্গুলিসঞ্চালনেই হচ্ছে সাফ জানিয়ে বলেন, “বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়ে বিজেপি প্রতিশোধ নিচ্ছে। টিট ফর ট্যাট হবে। একটা আঙুল দেখালে দশটা আঙুল রেডি আছে”। কয়লাকান্ডের প্রসঙ্গ তুলে তিনি মনে করিয়ে দেন, “কয়লা তৃণমূলের দায়িত্বে নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের সিআইএসএফ -এর দায়িত্বে”। ইডির তদন্ত প্রসঙ্গে দলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে দলের শাখা সংগঠন হিসেবে ব্যবহার করছে বলে বিজেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেকও।
তদন্তের ভয় দেখিয়ে তৃনমূলকে দাবানো যাবেনা বলে তিনি নিজেদের অনড় অবস্থান ঘোষণা করেন। অভিষেকের ভাষণে উঠে আসে ত্রিপুরার প্রসঙ্গ। আাগামী দেড়বছরের মধ্যে তৃণমূল ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে ঘোষণা করে অভিষেক বলেন, “ত্রিপুরায় দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে সরকার যাবে”।ওদিকে ত্রিপুরায় ২৮শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠাদিবসে ফের দ্বিতীয়বার বিজেপিরা হামলা করেছে বলে খবর। আক্রান্ত বহু তৃণমূল কর্মী। ত্রিপুরার বাঁধাঘাটের রাস্তায় বসে ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন।