সব ভালোবাসার সম্পর্ক পরিণতি পায় না।গভীর ভাবে ভালোবেসেও তাঁকে কাছে পাওয়া আর হয়না।এমন উদাহরণ অনেক দেখা যায়।তবুও সম্পর্কগুলো জীবন্ত হয়েই থেকে যায়।তেমনি ঘটেছিল বিখ্যাত শিল্পপতির জীবনেও।
মনে-প্রাণে ভালোবেসে ছিলেন যাঁকে, ভারত চীন যুদ্ধের কারণে তাঁদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত আর পৌঁছলো না। একদিন সব ফেরে সেটা দেরীতে হলেও,এয়ার ইন্ডিয়া, টাটা গোষ্ঠীর কাছে ফিরল প্রায় ৬৮বছর পর ।ঐতিহাসিক এই ঘটনায় টাটা গোষ্ঠীর বর্তমান চেয়ারম্যান রতন টাটা আনন্দ প্রকাশে কোনও খামতিই রাখছেন না।
নানা ভাবে সেই আনন্দ প্রকাশ করছেন তিনি। জে.আর.ডি টাটার সঙ্গে ছবিও পোস্ট করেছেন।রতন টাটা তাঁর সারল্য স্বভাব,অসাধারণ ব্যক্তিত্বের কারণে সকলের মন জয় করে শিরোনামে থাকেছেন। মানুষের ,তাঁর কর্মচারী তথা দেশের ভালো খারাপ সময় সবার পাশে থাকেন। তাঁকে ভালোবেসে ভক্তরা ভারত রত্নে ভূষিত করার কথাও তুলেছিলেন।এই বিশাল মনের মানুষ তথা বিখ্যাত শিল্পপতির জীবনেও ভালোবাসা এসেছিল,বড়ই আক্ষেপের ,সে সম্পর্ক পরিণয় পায়নি। রতন টাটা বহুবারই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও প্রেম সম্পর্কের কথা বলেছেন।
৮২ বছরের টাটা সন্সের চেয়ারম্যান রতন টাটা কর্মসূত্রে যখন লস এঞ্জেলেসে ছিলেন তখনই তিনি মনের মানুষের ভালোবাসায় পড়েন। ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের কারণে সে সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছয় নি। মা-বাবার ডিভোর্স তাঁদের দুই ভাইকে জীবনে অনেক সমস্যা নিয়ে আসে। তিনি তাঁদের ভালোবাসা সম্পর্কে জানান যে, এটি এলএ-তে হয়েছিল। তিনি কাউকে ভালোবেসে ছিলেন তাঁদের বিয়ের কথাও ঠিক হয়ে ছিল।তিনি তাঁর ঠাকুমার অসুস্থতার কারণে তাঁকে ভারতে আসতে হয়।তিনি চেয়েছিলেন তাঁর ভালোবাসার মানুষটিও তাঁর সঙ্গে ভারতে আসবে।১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের কারণে তাঁর মা-বাবা তাঁদের বিয়ের জন্য রাজি হন না শেষে বিয়ে ভেঙে যায়।
রতন টাটা তাঁর প্রেম জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন যে, সেই সময়টা খুব ভালো সময় ছিল তাঁর জীবনে।সেই সময়টি তাঁর জীবনের সেরা সময় ছিল। আজ সফল বিখ্যাত শিল্পপতি হওয়া স্বত্তেও ভালোবাসার মানুষটিকে পায়নি।অর্থ থাকলেও জীবনে ভালোবাসার মানুষটি হারিয়ে গিয়েছে।সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না হয়তো।তাঁর এই না পাওয়াই তাঁকে সফল প্রতিষ্ঠিত হতে শিখিয়েছে।