বুধবারই প্রচারে বেরিয়ে ভবানীপুরের গুরুদ্বারে গেলেন মমতা। গুরুদ্বারে উপস্থিত পঞ্জাবিরাও সাগ্রহে ঘিরে ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে।
ভোটের প্রচারে গিয়েও ভোট সম্পর্কে মমতা প্রায় কিছুই বলেননি। বরল জমিয়ে দিলেন আন্তরিক কথাবার্তায়। জাতীয় সঙ্গীতের শুরু দিয়েই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। বললেন, পাঞ্জাব শব্দটা দিয়েই গান শুরু করেছিলেন রবি ঠাকুর “পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা … আর শেষ হয়েছে বঙ্গ শব্দ দিয়ে”। বাংলার সাথে কত নিবিড় যোগ পাঞ্জাবের, সেটাই ধরিয়ে দিলেন নিপুন কায়দায়।
ভবানীপুরের একটা বড় অংশের ভোট এই পঞ্জাবিদের। অতএব সেই ভোটগুলো ভীষণ দরকারি। মমতা সে ধার দিয়ে না গিয়ে অকপট সারল্যের সাথে স্বীকার করলেন,” আমি পঞ্জাবি ভাষা খুব বেশি বলতে পারবোনা। তবে হালুয়া খেতে খুব ভালোবাসি। গুরুদ্বারে এলে মনটা শান্ত হয়ে যায়”।
মমতা এও বলেন,”আমি মাত্র দুটো বাক্যই ছোটবেলা থেকে জানি। এক, ওয়াহে গুরুজি কি ফতে ওয়াহে গুরুজি কি খালসা। আর একটা, যো বোলে সো নিহাল সৎশ্রী অকাল”।
ব্যস, এই সহজ কথার মধ্যে দিয়েই ভবানীপুরের মেয়ে মমতা ব্যানার্জী পঞ্জাবিদের মন জয় করে নিলেন। তারাও গলা মেলালো “ওয়াহে গুরুজি কি খালসা!”
প্রচুর পঞ্জাবি মহিলা গুরুদ্বারে মমতাকে দেখতে আসেন। একসাথে ছবি তোলার আব্দারও করতে থাকেন সকলে মিলে। তাঁদের আশ্বস্ত করে মমতা জানান তাঁর ঘরে পঞ্জাবি মেয়ে রয়েছে। অভিষেক ব্যানার্জীর স্ত্রী রুজিরা- র কথাই মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
কৃষক আন্দোলন থেকে শুরু করে এলাকার খুৃটিনাটি সমস্যাতেও তিনি পাশে আছেন সেকথা গুরুদ্বাদরে দাঁড়িয়ে অকপটে বললেন মমতা। “আপনাদের যেকোনও সাহায্য দরকার হলে আমাকে ফরমাশ করবেন” কথাটার মধ্যে একেবারে ঘরের মেয়েরই মনোভঙ্গি প্রকাশ পেল।