করাচি থেকে সাংহাইগামী জাহাজে মিলল বিপজ্জনক তেজস্ক্রিয়। মুন্দ্রা বন্দরে ভারতের হাতে ধরা পড়ে গেল ওই তেজস্ক্রিয় ভর্তি জাহাজ। এর ফলে পাকিস্তান ও চীনের সম্মিলিত একটি ষড়যন্ত্র বানচাল করা গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
কাস্টমস-এর কাছে আগাম বার্তা একটা ছিল, সেটা ‘অজানা কোনও বিপজ্জনক বস্তুর’। তবে সেটা কোথাকার জাহাজে সঠিক জানা ছিলনা। একেবারে মেপে ফাঁদ পেতে মুন্দ্রা বন্দরে অবশেষে একটি পাকিস্তানি জাহাজ হাতেনাতে আটক করল কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট এবং ডিআরআই। জাহাজটির কন্টেনার ভর্তি ছিল ভয়ানক তেজস্ক্রিয় পদার্থ। ভারতের কোনও জায়গার জন্যই নয়, জাহাজটি পাকিস্তানের করাচি থেকে চীনের সাংহাই বন্দরে এই ভয়ানক বিস্ফোরক পদার্থ চালান করছিল। মুন্দ্রা বন্দরে থামতেই সন্দেহজনক জাহাজটি আটক করে তল্লাশি চালায় কাস্টমস এবং ডিআরআই-এর যৌথ টিম।
উল্লেখ্য, এই মুন্দ্রা বন্দর থেকেই সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ৩ হাজার কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছিল, যার মূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা! সেবারেও আফগানিস্তানের ওই মাদক চালানকারী জাহাজ বাজেয়াপ্ত করেছিল ডিআরআই। এবার সেই বন্দরেই আটকা পড়ে গেল বিস্ফোরক।
মুন্দ্রা বন্দরের পরিচালক আদানি আাদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড (APSEZ) একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ওই বিদেশী জাহাজ থেকে অনেকগুলি কন্টেনার আটক করে। প্রথমে খবর ছিল ‘অজানা কোনও বিপজ্জনক বস্তু’ কন্টেনারগুলোয় রয়েছে, এবং মালবহনকারী জাহাজটি বিপজ্জনক নয় বলেই তালিকাভুক্ত হয়েছিল; কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় কাস্টমস এবং ডিআরআই টিমের আধিকারিকরা জাহাজটিকে বাজেয়াপ্ত করে।
সঠিক সময়ে এই পদক্ষেপ না নিলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চীনের কাছে এই ভয়ানক তেজস্ক্রিয় পাঠাতে সক্ষম হত পাকিস্তান, যার দ্বারা ভবিষ্যতে বড় কোনো নাশকতার সম্ভাবনাও ছিল বলে অনুমান করা যায়। মুন্দ্রা বন্দরের কাস্টমস এবং ডিআরআই টিম সতর্কতার সঙ্গে ওই নাশকতার আশঙ্কা রুখে দিল।