ভোটের লড়াই পুরোমাত্রায় জারি। দিনও স্থির হয়ে গেছে ৩০ সেপ্টেম্বর। যদিও সম্প্রতি আরও চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভবানীপুর নিয়ে আইনি বিতর্কও এর সমান্তরালে চলছেই। কেন শুধুই ভবানীপুরে নির্বাচন ? হাইকোর্টে এই মামলা এখনও জারি।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, আইনি হস্তক্ষেপের ফলেই কি চাপের মুখোমুখি হয়ে তড়িঘড়ি আরও ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হল কমিশন?
ভ-এ ভোট, ভ-এ ভবানীপুর। বাস্তবিক এই সমীকরণটাই কাজ করছিল উপনির্বাচনের মূলে। আর এই নিয়েই হাইকোর্টে চলছে মামলা। আজ মঙ্গলবার সেই মামলার রায় দিতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ভবানীপুরে সত্বর উপনির্বাচন না হলে ‘সাংবিধানিক সংকট’ তৈরি হতে পারে এই মর্মে কমিশনের কাছে সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। নির্বাচনে অনুমতি দেওয়ার সময়েও এই কারনটি নোটিশে উল্লেখ করেছিল কমিশন।
কিন্তু মুখ্যসচিব এই ভোট করানোর জন্য আদৌ ‘সুপারিশ’ করতে পারেন কি? এর ভিত্তিকেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা চেয়েছিলেন আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
সংবাদ সূত্র অনুযায়ী, গত শুক্রবার কমিশন যে হলফনামা দিয়েছেন তাকে ত্রুটিপূর্ণ বিচার করেছে আদালত। যে কারণে ওই হলফনামা গৃহীত হয়নি। ফলে রায়দানও স্থগিত ছিল।
এই মামলায় আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জী দাবি করেন,” নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে বলে মুখ্যসচিবের তরফে যা বলা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা মুখ্যসচিবের দায় নয়। সংবিধান সকলের জন্য সমান। ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন এই গ্রাউন্ডে বাতিল হয়”।
মামলা প্রসঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন বড় করে দেখছে আদালত। বার বার নির্বাচন করতে গিয়ে জনগণের টাকা খরচ হচ্ছে । আদালত প্রশ্ন রেখেছেন,”এই বিশেষ ভোটগুলো জনসাধারণের টাকায় করা হবে কেন?”
ভবিষ্যতে এই বিষয়টি নিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে হাইকোর্ট।