জয়েন্ট বিডিও হিসাবে আশিষ নায়েক দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন মালদহের বামনগোলায়।দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এইবার সেই দায়িত্ব ছেড়ে মানুষ গড়ার কারিগর অর্থাৎ শিক্ষকতার কাজ নিয়েছেন আশিষ নায়েক।যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি।
মাস ছয়েক আগে তিনি ইস্তাফা পত্র জমা দেন। সাম্প্রতি ইস্তাফা পত্র অনুমোদন পেয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্ৰামোউন্নয়ণ দপ্তর থেকে সে কথা তাকে জানানো হয়েছে ৯ই নভেম্বর।
এমন ঘটনা আগে কখন দেখা যায়নি।উচ্চ পদের বেশী মাইনের চাকরি ছেড়ে স্কুলের চাকরি বেছে নেওয়া, বিডিও কেউ দেখেননি। এই ঘটনা বর্তমানে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই ঘটনার কারণ তাকে জানতে চাইলে ব্যাক্তিগত ব্যাপার বলে তিনি এড়িয়ে গেছেন। রাজ্যের সেচ দফতর এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন আশীষের এই সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
কোন এক সময় কালিয়াচক কলেজের অধ্যাপিকা ছিলেন সাবিনা ।পরবর্তীতে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি এই পদ ছেড়ে দিয়েছেন। সাবিনার মতে সকলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে।শিক্ষকতা,মানুষ গড়ার কারিগর হওয়া সমাজের সবচেয়ে বড় সম্মানের কাজ। সমাজ যদি শিক্ষার আলো না পায় ,শিক্ষক তৈরী না হয় তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম তবে বিডিও তৈরী কিভাবে হবে?
আশিষ নায়েক ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগামীর সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এমন কিছু মহৎ হৃদয়ের মানুষের প্রয়োজন যারা টাকার চেয়ে শিক্ষাকে বড় মনে করে।নিজেকে মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে বেছে নেয়।তাঁর প্রতি সকলের শুভ কামনা রইল।এগিয়ে চলুক আশিষ নায়েক।