ত্রিপুরায় সংগ্রামের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগেও ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাবার মরিয়া চেষ্টায় করেছে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার। ১৪৪ ধারা জারি করে অভিষেক ব্যানার্জীকে সভা করায় আটকানো, এবারেও একাধিক নিয়মকানুন জারি এসবই তার অঙ্গ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবার কুনাল ঘোষকে থানায় ডেকে হেনস্থা করা হল। অভিযোগ, তিনি বলেছেন “জয় শ্রীরাম কোনও রাজনৈতিক শ্লোগান নয়”।
৩০ অক্টোবর কুনাল ঘোষ ট্যুইটার মারফত জানিয়েছেন, “আমি হিন্দু হয়েও বলছি জয় শ্রীরাম রাজনৈতিক শ্লোগান নয়। ধর্ম রাজনীতি থেকে দূরে থাকুক। মহিলারা সীতার পাতাল প্রবেশের যন্ত্রনাটাও মনে রাখবেন”।
এই কথা বলার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে আগরতলার পুলিশ। শনিবারই তাঁকে খোয়াই থানায় হাজিরা দিতে হয়। নোটিস পাওয়ার সাথে সাথেই ট্যুইটে সমস্ত উল্লেখ করে বলেছেন কুনাল জানান, “গভীর রাতে নোটিশ ধরিয়েছে। বেনজির ভাবে একদিনের মধ্যে আজই থানায় ডেকেছে”।
ধর্ম রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবেনা, এই কথা সংবিধান সম্মত। তাহলে কি ত্রিপুরার শাসক গোষ্ঠী সংবিধানের মতামতকেই অগ্রাহ্য করতে চায়? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
বাক স্বাধীনতার কারণে এই আরোপিত মামলা ত্রিপুরা সরকারের প্ররোচনা বলেই মনে করছে তৃণমূল শিবির। তাঁর বলা কথায় কোনো অশালীন ছাপও পাওয়া যায়নি। নেহাতই সোজা এক মতামতের বহিঃপ্রকাশ। এই কারণে হঠাৎ কেন দলের কাজে ত্রিপুরায় অবস্থিত কুনাল ঘোষকে থানায় হাজিরা দিতে হল? ত্রিপুরা প্রশাসনের এহেন আচরণ তৃণমূলকে ইচ্ছাকৃত হেনস্থা ও বাধা দেওয়ার দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করছে। রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ এমনটাই মনে করছেন।