করোনা আবহে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।শিখেছি অনলাইনে শুধু ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাক্তার দেখানো।করোনা আবহে রোগীদের থেকে শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখেই শুধু রোগের প্রাথমিক লক্ষণ জেনে চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকেরা।এবার হুগলি জেলার রিষড়া পুরসভার কর্মী অসিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়ের তাক লাগিয়ে দিলেন ‘টেলি-স্পন্দন’ যন্ত্র তৈরী করে।
রিষড়ার প্রশাসন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে যে অসিতাভ বাবুর তৈরি এই যন্ত্রের মাধ্যমে রিষড়া পুরসভার নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রিন ভলান্টিয়ার্সরা অসুস্থ রোগীর বাড়ি গিয়ে তাঁদের শারিরীক অবস্থার হালহাকিকত সম্পর্কে তুলে দিতে পারবেন ডাক্তারদের কাছে। এর ফলে রোগীদের সংস্পর্শে না এসেই তাঁদের রোগের লক্ষণ বুঝে চিকিৎসা করতে পারবেন চিকিৎসকরা ।ফলে চিকিৎসায় বিশেষ সুবিধা হবে।করোনাআবহে টেলি মেডিসিনের যথেষ্ট গুরুত্ব বেড়েছে।অনেক ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র রোগী ও তাঁর পরিবারের কথা শুনে চিকিৎসায় অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।স্টেথোস্কোপের সঙ্গে মোবাইল যুক্ত করে টেলি-স্পন্দন’যন্ত্রের সাহায্যে রোগীর গলা বা জিভের ছবি দূর থেকেই দেখা যাবে ,শুধু তাই নয় শোনাও যাবে ফুসফুস অথবা হৃদ্যন্ত্রের শব্দও।
এতে ছবিও ওঠার সঙ্গে, শব্দও রেকর্ড করা নেওয়া যাবে মোবাইলে।এর ফলে করোনা রোগী থেকে অন্য কোনও রোগে আক্রান্তদের রোগীদের শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখেই রোগের প্রাথমিক তথ্য চিকিৎসকরা পেয়ে যাবেন। অসিতাভ বাবু জানান অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপার জন্য অক্সিমিটারের মত কোভিড আক্রান্তের ফুসফুসের শব্দ, হৃদ্যন্ত্র সঙ্গে গলার ছবি দেখে বহু দূর থেকে চিকিৎসা করতে পারা যাবে। সাধারণ মানুষর এটি খু কাজে আসবে।
বিধায়ক অরিন্দম গুঁইয়ের উপস্থিতিতে রবিবার রিষড়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনাথ সাহা সরণীতে শিশুদের করোনা চিকিৎসায় একটি সহায়তা কেন্দ্র চালু এদিন চালু করার পাশাপাশি ‘টেলি স্পন্দন’যন্ত্রের যন্ত্রেরও উদ্বোধন করা হলো। পুরসভার সূত্র মারফত জানা যায় পুরসভার তত্বাবধানে থাকা গ্রিন ভলান্টিয়ার্সরা এই যন্ত্র ব্যবহার করে রোগীর তথ্য সংগ্রহের করতে পারবেন। এই যন্ত্রটি তৈরি করতে আনুমানিক প্রায় দু’হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
চিকিৎসকরা অমিতাভ বাবুরণ্য তৈরি এ যন্ত্রের প্রশংসা করেছেন জেলার চিকিৎসকদের একাংশ। রিষড়ার চিকিৎসক হর্ষবর্ধন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “করোনাকালে এ যন্ত্রটি খুবই কার্যকরী হবে। অনেক সময় কোভিড রোগীদের কাছে চিকিৎসকরা পৌঁছতে পারে না ফলে রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন প্রেসার বা হার্টের অবস্থা অজানা থাকে যাৎ। তবে এবার রোগীদের বাড়িতে ভলান্টিয়ার্স গিয়ে এ যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁদের কি অবস্থা সেই সম্পর্কিত তথ্য চিকিৎসাদের কাছে পাঠাতে পারবে। রোগী কতটা সিরিয়াস সেটাও বুঝতে পারা যাবে যন্ত্রের মাধ্যমে।তঁর আবিষ্কার করোনাকালে প্রশংসার দাবী রাখে।গুরুতর অসুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে অনেক উপকারী এই যন্ত্রটি।