এটাকে তথাগত রায় চ্যাপ্টারের দ্বিতীয় অধ্যায় বলা যায়। প্রথম অধ্যায়ের উপসংহারে এসে গত পরশুই ট্যুইট করে বিজেপিকে একরকম ‘টাটা, খতম, গুডবাই’ জানিয়েই দিয়েছিলেন প্রাজ্ঞ নেতা তথাগত রায়। সম্ভবত তিনি দেখতে চাইছিলেন এর প্রতিক্রিয়া কী হয়!
প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি শিবিরের অনেকেই চুপ ছিলেন, বাকিরা একরকম ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন ‘উনি চলে গেলে বিজেপির কিছু এসে যায়না’, এটা বিজেপি সমর্থকদেরই কথা। তবে আর কেউ বলুক না বলুক, তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ ট্যুইটে জানালেন তথাগত চলে গেলে কী কী ক্ষতি হয়ে যাবে।
তথাগতকে উৎসর্গ করে এক অদ্ভুত সার্কাস্টিক ট্যুইট করেন তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তথাগতর বিদায়বাণীর ট্যুইটের প্রেক্ষিতে রিট্যুইট করে তিনি লেখেন, “বাংলার রাজনৈতিক বিনোদন জগতে এ এক অপূরণীয় সাময়িক ক্ষতি। তিনি যে দক্ষতায় দর্শককে হাসাতেন , তাঁর অবদান মানুষ মনে রাখবেন। পাগলা দাশুর নাটকে ‘আবার সে এসেছে ফিরিয়া’-র মতো সংলাপের অপেক্ষায় থাকব। তবে কামিনী অংশ বাদ দিলেও, কাঞ্চন অংশে সিবিআই, ইডির তদন্তের দাবি থাকলই”।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিজেপি নেতা তথাগত রায় একটি ট্যুইটে সাময়িক বিদায়ের প্রচ্ছন্ন একটা ইঙ্গিত দিয়ে লিখেছিলেন, “কারুর কাছ থেকে বাহবা পাবার জন্য আমি ট্যুইটগুলো করছিলামনা। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম। এবার ফলেন পরিচীয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব। আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি!”
সেই ট্যুইটের প্রত্যুত্তর দিয়ে কুনাল ঘোষ বুঝিয়ে দিলেন, ট্যুইটারে টক্কর দেওয়ার জন্য আর কেউ না থাকুক বা না থাকুক, তথাগতর অভিন্নহৃদয় শত্রু কুনাল ঘোষ অবশ্যই থাকবেন।