মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তর প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্ত দাবি জানিয়ে মামলা করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ ছিল এই শেয়ার হস্তান্তরের ফলে রাজ্যের কোষাগারের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এদিন সিবিআই হাইকোর্টকে জানালো তারা তদন্ত করতে প্রস্তুত।
এই প্রসঙ্গেই খোঁচা দিয়ে তৃণমূল কটাক্ষ করেছিল, “পদ্মের ওপর হাত, নাকি হাতের ওপর পদ্ম!”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই-ইডিকে নিজেদের স্বার্থ ব্যবহার করছে এই অভিযোগ তৃণমূলের একার নয়, কংগ্রেসেরও একই কথা। তাহলে মেট্রো ডেয়ারি মামলায় সেই সিবিআইআইয়ের কাছেই তাঁরা স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করছেন কোন যুক্তিতে! প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই তদন্তের দাবি একরকম দ্বিচারিতা বলেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পাল্টা দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। নারদ-কান্ডের উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “নারদ কান্ডে লালকৃষ্ণ আডবানী সংসদের এথিক্স কমিটির একটি বৈঠকও ডাকেননি। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী একটি কথাও বলেননি। তাহলে কি পদ্মফুল আর ঘাসফুলের পরাগ রেণুর মিলন হয়েছে?”
যুক্তির দিক থেকে কথাটা উড়িয়ে দিচ্ছেনা রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে এই মামলার সূত্রপাত। তৃণমূল সরকারের প্রতি অভিযোগ উঠেছিল — অতি স্বল্প মূল্যে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার তারা কেভেন্টারকে পাইয়ে দেয়। যেখানে সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারিত হলেই শেয়ার কেনার কথা, সেখানে অল্প দামে শেয়ার হস্তান্তর করে আসলে রাজ্যের কোষাগারেরই ক্ষতি হয়েছে। এই বিষয়ে তখনই সরব হয়ে জনস্বার্থ মামলা ঠুকেছিলেন অধীর চৌধুরী।
এদিন সেই তদন্তেরই ভার তুলে নিল সিবিআই। অধীরবাবু বলেছেন , “সিবিআইয়ের ওপর মমতা ব্যানার্জীর অনাস্থা বা আমাদের আস্থার ব্যাপার এটা নয়। বিচারপতিকে তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলা করেছিলাম। প্রথমে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ বলে ইডিকে যুক্ত করার কথা বলা হয়। এবার সিবিআই আসবে কিনা সেটা সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার”।