সম্প্রতি টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর বিজেপি ত্যাগ করা নিয়ে নানাজনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বাকি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি কেন কিছু বলছেননা? মুখ খুললেই বিতর্ক সেই কারণেই কি চুপ তিনি? অবশেষে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। এদিন যা তিনি বললেন তাতে রীতিমতো সরগরম নেটমহল।
গত বৃহস্পতিবারই সাতসকালে ট্যুইটে লিখে শ্রাবন্তী জানান, “বাঙালিদের হয়ে বাংলার জন্য কাজ করার কোনও উৎসাহ বা মানসিকতা বিজেপি দলে দেখিনি। …তাই বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম”।
শ্রাবন্তীর বিজেপি ছাড়ার প্রতিক্রিয়ায় সকলেই কিছু না কিছু বলেছেন। মদন মিত্র বলেছেন, “ওহ্ লাভলি!” তরুণ দেবাংশু বলেন, “আরো একজন বাঙালি বেরিয়ে এলেন এটাই বড় কথা”। এদিকে বিজেপির তরফে বর্ষীয়ান নেতা তথাগত বলেন, “এতদিনে ঘাড় থেকে ভূত নামলো”। তেমনই সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “বিজেপি করলে টালিগঞ্জে কাজ পাওয়া যায়না, তাই দল ছেড়েছেন শ্রাবন্তী”।
এই প্রসঙ্গে আরো এক অভিনেত্রী তথা তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, “কোনও মহিলার পক্ষেই বিজেপিতে থাকা সম্ভব নয়”। তাঁর এই মন্তব্যেই আগুনে ঘি পড়ল।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। এদিন সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, “দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, প্রথম বিদেশমন্ত্রী মহিলা করেছি আমরা। বিজেপিতে মহিলারা যথেষ্ট সম্মান পান। কিন্তু ওঁরা যাকে মহিলা নেত্রী ভাবেন তিনি তো নিজেকে মহিলা ভাবেননা। তৃণমূলে একজনই পুরুষ আছে, বাকি সবাই মহিলা”।
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে হইচই শুরু হয়ে গেছে। তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই পুরুষ বলে ইঙ্গিত করেছেন সন্দেহ নেই। তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষ অবশ্য এব মন্তব্যের বিপরীতেও জোরদার জবাব দিয়েছেন । তিনি বলেছেন, “নারীবিদ্বেষী মনোভাব থেকেই দিলীপবাবু এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তবে উনি কটাক্ষ করতে গিয়ে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তিকেই স্বীকার করে নিলেন। এটা অত্যন্ত ভালো প্রবণতা “।