এ রাজ্যে পুরভোটের ঘোষণা হতে না হতেই ত্রিপুরায় পুরভোটের আগাম পরিকল্পনা শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই উপলক্ষ্যেই আজ বৃহস্পতিবার হয়ে গেল তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির জরুরি বৈঠক। এর আগে অক্টোবরের গোড়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি মিটিং ডেকেছিলেন। তখনই ত্রিপুরার পুরভোট নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সারা হয়েছিল। এবার তৈরি হল পুরভোটের ব্লু প্রিন্ট।
২২ শে অক্টোবর থেকেই ত্রিপুরায় আরম্ভ হচ্ছে প্রথম দফার কর্মসূচি, চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। সেই অনুযায়ী ত্রিপুরার ৮ টি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল ৩ জন বাছাই নেতাকে। পশ্চিম ত্রিপুরা ও সিপাহীজলার দায়িত্বে সুস্মিতা দেব; আশিষ লাল সিংহ থাকছেন ধলাই, খোয়াই, উনকোটি এবং উত্তর ত্রিপুরার দায়িত্বে; গোমতী ও দক্ষিণ ত্রিপুরা সামলাবেন সুবল ভৌমিক। এই ৩ নেতৃত্বের অধীনে ৩ দলের দুটিতে থাকছেন ৯ জন করে প্রতিনিধি এবং একটি দলে ১২ জন প্রতিনিধি কাজ করবেন।
গোটা পরিকল্পনাকেই বিশেষ নজরে রাখবেন ৩ জন যথাক্রমে — সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক এবং বাপটু চক্রবর্তী।
কাল থেকে টানা দু’সপ্তাহ প্রচার চালিয়ে যাবেন স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বাররা। এই প্রচারে একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি তুলে ধরা হবে, পাশাপাশি ত্রিপুরায় বারবার তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন সে ব্যাপারেও ত্রিপুরার জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।
ত্রিপুরায় মূল লক্ষ্য অবশ্যই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই পুরভোটের মাধ্যমে পরিস্থিতি ও জনমানস বুঝে নেওয়ার একটা মকটেস্ট করে দেখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম দফায় ৪ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি সারা হলে তারপর ত্রিপুরায় যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী। সেই দিনটার অপেক্ষায় তাকিয়ে ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল।