আজই ত্রিপুরায় পুুরভোট, আর আজই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ওএসডি ( Officer On Special Duty)- সঞ্জয় মিশ্রকে হাজিরা দিতে নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ। অন্যথায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আনা হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে ৩০৭ ধারায় গ্রেপ্তার করে হাজতবাস করাতে চাইছিল ত্রিপুরা পুলিশ। অবশেষে একদিন আগে ৩০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন সায়নী। ঠিক তার পরে পরেই বিপ্লব দেবের ওএসডিকে কলকাতা পুলিশের জরুরি তলব! প্রশ্নটা তাই স্বাভাবিকভাবেই উঠছে, কী কারণে এমন তলব? সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তারের পাল্টা জবাবদিহির জন্য নয় তো?
ত্রিপুরায় আজ পুরভোট। মোট ৩৩৪ টি সিটের ১১২ টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি। বাকি ২২২টি আসনে লড়াই হচ্ছে বৃহস্পতিবার। প্রসঙ্গত, এই সবকটি বুথকেই সংবেদনশীল বলে ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কারণ পুরভোট প্রস্তুতিপর্বে কম ঝঞ্ঝাট তো হয়নি! গোড়া থেকেই একের পর এক বাধা এবং হামলার শিকার হয়েছে ‘বহিরাগত’ বিরোধীদল তৃণমূল কংগ্রেস। সুস্মিতা দেবের মামলার শুনানির পরেও সে আক্রমণ সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত এগিয়েছে, যে গ্রেপ্তারিকে সম্পূর্ণ চক্রান্ত বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ বিপ্লব দেবের সভার কাছে গিয়ে কটাক্ষ করেছেন। এর ওপর ভিত্তি করেই উস্কানিমূলক প্ররোচনা, হুমকি ও গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে জামিন অযোগ্য ধারায় সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান সায়নী।
ঠিক তার একদিন পরেই আজ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওএসডি সঞ্জয় মিশ্রকে দুপুর ১২টার মধ্যে নারকেলডাঙা থানায় হাজিরা দিতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। যদিও ওই নোটিশের বয়ান অনুযায়ী, ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৩-রা নভেম্বরের একটি মামলার সূত্রে তাঁকে তলব করা হয়েছে।
নারকেলডাঙা পুলিশ স্টেশনের এসপি সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো এই নোটিশে ‘কেস নম্বর ৩২৩, তারিখ ৩/১১/২১’- এর উল্লেখ রয়েছে। চলতি মাসের এইদিনটির কোনও মামলায় জেরা করার জন্যই ত্রিপুরার ওএসডিকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তবে পুরভোট চলাকালীন সময়ে কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ দুই রাজ্যের রাজনীতি মহলে বিশেষভাবে নজর টেনেছে।