VoiceBharat News d

কেউ বলেন ‘ ভাইপো ‘ , আবার কারোর কাছে তিনি ‘ নেতা ‘ । অভিষেক ব্যানার্জি নামটা বাংলার রাজনীতিতে বর্তমানে যে একরকম বিশাল চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তা বলা যায় । কখনো স্টেজ থেকে শুভেন্দুকে হুঙ্কার দেওয়া তো কখনো হাতজোড় করে মানুষের থেকে আশীর্বাদ চাওয়া : ভিন্ন রূপে অধিকারী তিনি । সেই অভিষেক ব্যানার্জির ত্রিপুরায় কর্মসূচিতে না বললো ত্রিপুরার পুলিশ আর তা ঘিরে তপ্ত হলো রাজনীতি । 

VoiceBharat News d5


বাংলায় বিপুলমাত্রায় ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের লক্ষ্য ত্রিপুরা জয় আর তাই তৃণমূলের ত্রিপুরা অভিযানের পর থেকে শুরু হয় দ্বন্দ্ব । ত্রিপুরা অভিযানের সময় তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য , সুদীপ রাহাদের মতো তরুণ নেতাদের মার খাওয়ার ঘটনায় গর্জে ওঠে তৃণমূল । অভিষেক ব্যানার্জী থেকে মহুয়া মৈত্র সকলে তাঁদের প্রতিবাদ দেখাতে থাকে । এর পরেই তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরার রাজনীতি । কিছুদিনের মধ্যে অভিষেককে দিল্লিতে ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয় । তৃণমূল দাবি করে , তাদেরকে ভয় পেয়ে বিজেপির ষড়যন্ত্র শিকার অভিষেক । এরপরেই অবশ্য তিনি দিল্লি থেকে ফিরে বিজেপিকে হুঙ্কার দেন এবং ত্রিপুরায় কর্মসূচির ঘোষণা করেন আর সেখানেই বাঁধ সাধে । 
ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়ে দেয় , সেখানে অভিষেক ব্যানার্জি কর্মসূচি করতে পারবেন না । কারণ হিসেবে জানানো হয় , কর্মসূচির ৭২ ঘন্টা পূর্বে সভার কারণ , স্থান সব জানাতে হয় তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেসব নেওয়া হয়নি । তাই অন্য একটি দলকে পারমিশন দেওয়া হয়েছে ফলে তৃণমূলের কর্মসূচি করা যাবে না । আর এতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল । তৃণমূল নেতা জানান , ” ত্রিপুরা সরকার আমাদের ভয় পেলো । সর্বভারতীয় স্তরেও ভয় পাচ্ছে । তাই ত্রিপুরায় তৃণমূল তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে । অন্য এক রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অনুমতি দিচ্ছে শুনেছি । ”