বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হিংসার জের পড়েছে ত্রিপুরায়। দুর্গাপূজো চলাকালীন দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সহ একাধিক ঘটনায় এতদিন শুধু মুসলিম দ্বারা হিন্দুদের আক্রমণের খবরই চতুর্দিকে সম্প্রচারিত হচ্ছিল। এবার ত্রিপুরায় মৌলবাদী হিন্দুদের প্রতিহিংসাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে — সেই ছবিই প্রকাশিত হতে শুরু করল।
অক্টোবরের ২০ তারিখ ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় দলে দলে বিভক্ত হয়ে আক্রমণ চালায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল এবং হিন্দু জাগরণ মঞ্চ।
সম্প্রতি, মাকতুব মিডিয়া মারফত তেলেঙ্গানা রাজ্যের দৈনিক সংবাদপত্র ‘দ্য সিয়াসাত ডেইলি’ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। উক্ত হামলায় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় এক ডজনেরও বেশি দোকানপাটে ভাঙচুর করা হয়। ভারতের মুসলিম ছাত্র সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন’-এর ত্রিপুরা শাখার এক কর্মী শফিকুর রহমান সেদিনের বিস্তারিত খবর জানান।
২০ অক্টোবরের রাতে হিন্দু মৌলবাদী হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে গোমতী জেলার উদয়পুরে। সেই সঙ্গে ত্রিপুরার কৃষ্ণনগর, ধর্মনগর, চন্দ্রপুর ও পানিসাগর এলাকার ৬টি মসজিদে আগুন জ্বালিয়ে দেয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। প্রতিটি এলাকায় সংগঠিত ভাবে মিছিল করে হামলা চালানো হয়।
শফিকুরের বর্ণনায় উঠে এসেছে –“হামলাকারীদের পরনে গেরুয়া রঙের কাপড় ছিল। কুমিল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজোয় হামলার জেরেই ত্রিপুরায় পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে”।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও পুলিশের কাছে লিখিতভাবে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে ইসলাম সংগঠন ‘জামিয়াত উলেমা হিন্দ’। একই সঙ্গে ওই সংগঠন বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হিংসাত্মক ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেছে।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছে এই ঘটনা পরিকল্পিত, এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে কালিমা লেপনের উদ্দেশ্যেই ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান। ঝামেলা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।