প্রসঙ্গ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নামটার জন্যই দারুণ অস্বস্তির মুখে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। অবশ্যই এর জন্য বিজেপিকেই দায়ী করলেন বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়।
সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও রাখা হয়েছিল। যদিও রাজীব প্রকাশ্যেই তৃণমূলে ফেরার জন্য বাঁধাছাঁদা শুরু করে দিয়েছিলেন। তাসত্ত্বেও ওই আমন্ত্রিতদের শীর্ষ তালিকায় রাজীবের নাম রাখা হল কাদের পরামর্শে ? প্রশ্ন তুলে বিজেপিরই চার শীর্ষ নেতা ‘কেডিএসএ’ কে দায়ী করেছেন।
এই কেডিএসএ যথাক্রমে — কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, শিবপ্রকাশ ও অরবিন্দ মেনন। চারজনকে একত্রে ধরে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছেন, “রাজীব যখন তৃণমূলে ফেরার তোড়জোড় চালাচ্ছেন তখন তাঁর নাম রাখা হয়েছে বিজেপির জাতীয় এক্সিকিউটিভ কমিটিতে! রাজ্য কমিটিকে জানানো পর্যন্ত হয়নি! কার সুপারিশে এমন হল? “
উল্লেখ্য, বিজেপির এই অভিজ্ঞ নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের সাথে কেডিএসএ টিমের বিবাদ নতুন নয়। এর আগেও সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্রকে প্রার্থী ঘোষণা করার পর শিখা জানান বিজেপির সাথে সংস্রব রাখতে চাননা তিনি। এতে যে দলের মুখে চুনকালি মাখানো হয়, প্রবীণ নেতা সেই অভিযোগেই দলের ৪ নেতার বিরুদ্ধে মুখর হয়েছেন আগেও।
ওই প্রসঙ্গে ট্যুইট করে তিনি লেখেন, “কৈলাস, দিলীপ, অরবিন্দ, শিবপ্রকাশ এই চার মাথাই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছে। হেস্টিংসের শীর্ষে এবং সাততারা হোটেলে বসে তারা তৃণমূলের আবর্জনাদের মধ্যে টিকিট বিলি করেছেন”।
বস্তুত এভাবেই তৃণমূল থেকে আসা বিজেপি যোগদানকারীদের ‘আবর্জনা বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যাদের জন্যই এখন ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে, এমনটাই মনে করছেন তথাগত রায়।
এই দলছাড়া বিজেপি যোগদানকারীদের তিনি যে আগাগোড়াই ভালো চোখে দেখেননি তা স্পষ্টতই ফুটে উঠেছিল ভাষায়। “এক ঝাঁক নিম্নমানের অদূরদর্শী মানুষ যাদের কোনো রাজনৈতিক বোঝাপড়া নেই,অষ্টম শ্রেণী পাশ তারের থেকে আর কী প্রত্যাশা করবে? ” ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন তথাগত। আর এই কারণেই যে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতারা দলত্যাগ করছেন বা তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন, রাজীব প্রসঙ্গে দলের ৪ মাথাকেই দায়ী করে আরো একবার সেটাই মনে করিয়ে দিলেন তথাগত রায়।