কে জিতবেন? প্রিয়াঙ্কা না মমতা!
প্রশ্নপত্র নিয়ে গতকালই অঙ্ক কষে ফেলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। বিধানসভা ভোটে নিজের অভিজ্ঞতার স্মৃতি যে এখনও তাজা! আর তাই রুদ্রনীলই হাড়ে হাড়ে বোঝেন ভবানীপুরের ভোট নকশা। কিছুটা ভবিষ্যত বাণীও করে দিয়েছেন আগেভাগেই।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এবারের উপনির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে অনেকে রটিয়ে দিয়েছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত প্রার্থী না হলেও ভবানীপুরে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। স্বভাবতই কৌতূহল — তিনি কী ভাবছেন এবারের উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে!
অঙ্ক কষে নিজের আনুমানিক হিসেব জানিয়েছেন রুদ্রনীল। বলেছেন, “প্রিয়াঙ্কা জিতলে ব্যবধান হবে ৭০০০ এর মতো, আর যদি মমতা জেতেন তাহলে ব্যবধান ১৫,০০০ হবে”।
তৃণমূল-বিজেপির ফলাফলের ভবিষ্যত বক্তা রুদ্রনীল নিজের প্রসঙ্গে কী ভেবেছেন? ভবানীপুরে তিনি হেরেছিলেন কেন?
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে ভাবালু হয়ে পড়েন অভিনেতা। তাজা স্মৃতির পাতা উল্টে চিন্তামগ্ন হয়ে বলেন,”ভবানীপুরে সত্যিই কি আমি হেরেছিলাম! আমার সন্দেহ আছে “।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তিনি প্রায় ২৮,০০০ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। নিজের সেই হার নিয়ে এখনও যথেষ্ট সংশয় আছে রুদ্রনীল ঘোষের। সেটাই সংবাদ মাধ্যমে সরাসরি বলে ফেলেছেন গতকাল।
এদিকে ভবানীপুরের ভোট গণনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। শাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে চলছে ভবানীপুরের গণনা। হার জিতের হিসেব যা হবার তা ওখানেই হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুরেও আজ একই সঙ্গে ভোট গণনা রয়েছে। জঙ্গীপুর পলিটেকনিক কলেজে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।