পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করছে ভারতের প্রতিবেশি দেশ চিন। গোটা বিশ্বের পক্ষেই যে সেটা বিপজ্জনক, এমন বার্তাই দিল পেন্টাগন।
আমেরিকা জোরের সাথে দাবি করছে — চিন আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রায় ৭০০ টি পারমাণবিক অস্ত্র বানিয়ে ফেলবে, এবং ২০৩০ এর মধ্যেই তার সংখ্যা আরো বাড়িয়ে এমনকি আমেরিকাকেও টেক্কা দিতে চলেছে! প্রথমে পেন্টাগনের আনুমানিক হিসাব ছিল, বর্তমানে চিনের হাতে খুব বেশি হলে ২০০ টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। ১০ বছরে তার দ্বিগুণ ৪০০ হতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্টে নিজেদের সেই অনুমান ভ্রান্ত ছিল বলেই জানালো পেন্টাগন। আর এই পরমাণু শক্তির আতিশয্যের ফলে যুদ্ধের আগাম পূর্বাভাস পেয়ে ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে ফেলেছে।
শুধু আমেরিকা নয়, বিপদ রয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারতেরও। তার প্রথম কারণ, প্রতিবেশি হলেও চিনের সাথে ভারতের সীমান্ত নিয়ে সমস্যা; দ্বিতীয়ত পাকিস্তানের ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ হল চিন। এই সমস্ত অঙ্ক কষেই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভয়ঙ্কর পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করল আমেরিকা।
কিন্তু, এত জোরের সাথে এতবড় বার্তা পেন্টাগন দিচ্ছে কীকরে?
এর মূলে রয়েছে চিনের সমস্ত কর্মপ্রক্রিয়ার ওপর আমেরিকার স্যাটেলাইট নজরদারি। সেই নজরদারিই বলে দিচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে আমেরিকার কাছে তো বটেই, এমনকি গোটা বিশ্বের কাছেই ত্রাস হয়ে উঠতে চলেছে চিন। আকাশপথে যুদ্ধ বা সাবমেরিন থেকে পরমাণু বোমা নিক্ষেপের সমস্ত সম্ভাবনা তুলে ধরে পেন্টাগন জানাচ্ছে, “পরমাণুর শক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে উপযুক্ত পরিকাঠামো ছকে ফেলতে চাইছে চিন”।
তবে এতকিছুর আভাস দেওয়ার পরেও আমেরিকা আশা রাখছে — হঠাৎ করে তাদের ওপর আঘাত হানার সাহস দেখাবেনা চিন। দেখালেও তা প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে আমেরিকা। কেননা, পরমাণু শক্তিতে তাদের ক্ষমতাও কম কিছু নয়।
যদিও চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে পেন্টাগনের এই আগাম ঘোষণাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মতে — বিশ্বের কাছে চিন সম্পর্কে বিপদ বাড়িয়ে দেখাচ্ছে আমেরিকা।
এ বিষয়ে ভারতের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত মেলেনি।