রাজনীতিতে মদন মিত্র আলাদাই একটা ইমেজ নিয়ে চলেন। হাজার কালিমাও যেন কালো করতে পারেনা দিলখুশ এই মানুষটিকে। শাসক হোক বিরোধী গোষ্ঠী, মদন মিত্রকে পছন্দ করেন সবাই। কামারহাটির এই বিধায়কটি তাঁর এলাকাতেও যেমন জনপ্রিয়, তেমনই প্রিয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। গতকাল আরো একবার সেই চিত্রই ফুটে উঠল মধ্যমগ্রামের সভামঞ্চে। এদিন হাল্কা মজার ছলেই মদনকে গুরুদায়িত্ব দিলেন দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার মধ্যমগ্রামে একটি প্রশাসনিক সভায় বক্তব্য রেখেছেন মমতা। ছাত্রদিবস, ছাত্রমেলা সহ ভবিষ্যত কর্মসূচি রূপায়ন নিয়ে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা চলেছিল এই সভায়। সেখানে উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী , বিধায়ক সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে মতামত বিনিময় করেন, নিজেদের দাবিও রাখেন সরাসরি। মদন মিত্র কিছু বলছিলেননা। সভার একেবারে শেষ পর্যায়ে তাঁর খোঁজ পড়ল।
সভামঞ্চ থেকেই মমতা চেঁচিয়ে ওঠেন, “মদন মিত্র তো কিছু বললনা! ওকে তো আমি দেখতেই পাইনি “। ঠিক তারপরেই মদন মিত্রের দায়িত্ব ঘোষণা করেন দিদি, “ও আর কী বলবে! ও তো স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে “।
এতক্ষণে মদন মিত্রর গলা শোনা যায়। দিদির উদ্দেশ্যে হাত তুলে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে বলেন, “আমি আপনার দেওয়া নির্দেশ যথাযথ পালন করছি”।
ভাতৃপ্রতীম এই ‘কালারফুল’ রাজনীতিককে এবার মমতা প্রকাশ্যেই জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি রবীন্দ্রসংগীত ছাড়া আর কিছু গাইছ না তো?”
মদনের একগাল হাসি, “না না, শুধু রবীন্দ্র সংগীতই গাইছি “। মুখ্যমন্ত্রীর সহাস্য সমর্থন, “ওকে, শুধু রবীন্দ্র সংগীত গাইবে!”
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বিধায়ক মদন মিত্রর এই হাল্কা হাসিমজা গোটা সভার মুড বদলে দিয়েছিল গতকাল। আর পরিবহণ দপ্তরের এতবড় দায়িত্ব পেয়েও অমায়িক মদন মিত্র আরো একবার প্রমাণ করলেন, তাঁর তুলনা একমাত্র তিনি নিজেই।