২৫ ডিসেম্বর, জি সিনেমায় রাত ৮ টা নাগাদ ‘থালাইভি’-র ওয়র্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার হতে চলেছে। জয়ললিতার জীবন আধারিত এই বায়োপিক ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যাঁরা দেখেছেন তাঁরা তো বটেই, যাঁরা দেখেননি সেইসব দর্শকরাও উন্মুখ। সেই প্রসঙ্গেই আরো একবার আলোচনা করতেই হয়, পর্দায় জয়া আম্মার চরিত্র চিত্রণ করতে গিয়ে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে বাস্তবে কতখানি পরিশ্রম করতে হয়েছিল।
কঙ্গনার নিজের ভাষায়,”থালাইভি আমার জন্য একটি জীবন পরিবর্তনকারী অভিজ্ঞতা, কারণ এর মধ্যে দিয়ে প্রচুর কিছু শেখার ছিল। জয়া আম্মার মতো একজন শক্তিশালী এবং প্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বকে চিত্রিত করা রীতিমতো একটি সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার সামিল।”
অভিনয় তো বটেই, দক্ষিণী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জয়ললিতার চরিত্র সম্পর্কে গভীর অনুসন্ধান, এবং সবচাইতে কঠিন পরীক্ষাটা কঙ্গনা রানাওয়াত করেছিলেন নিজের শরীর নিয়ে। জয়া আম্মার অভিনেত্রী জীবন এবং রাজনৈতিক জীবনকে একটা বিরাট ক্যানভাসে ধরা, ১৬ বছর বয়স থেকে ৪২ বছর পর্যন্ত বিস্তৃত জীবনের ওঠাপড়া দেখাতে গিয়ে অসম্ভব শারীরিক এবং মানসিক পরিশ্রম করেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, “ছমাসে ২০ কেজি ওজন বাড়ানো এবং শ্যুটিং শেষেই আবার ২০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলার কারণেই নানারকম শারীরিক সমস্যার শিকার হই আমি। ৩০ বছর বয়সে এরকম পরিবর্তন অনেক কিছুই হেরফের করে দিয়েছে। আমার শরীরে এখনও স্ট্রেচ মার্ক বর্তমান।”
একজন মহিলা হিসেবে জীবনের মাত্র ৩০ বছর বয়সে এতবড় পরিবর্তন সত্ত্বেও দমেননি অভিনেত্রী! বরং উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন, “জীবনের প্রাপ্তি শারীরিক পরিবর্তনেরও উর্দ্ধে। এমন একটি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকাটাই সবচেয়ে বেশি আনন্দদায়ক।”
সত্যিই, এমন অভিনেত্রীই হয়তো পারেন জয়া আম্মার মতো চরিত্রের উথ্থান পতনের বাস্তব চরিত্রায়ন ঘটাতে।
উল্লেখ্য, এই সিনেমার মাধ্যমেই হিন্দির পাশাপাশি দক্ষিণী চলচ্চিত্রে ডেবিউ হয়েছিল কঙ্গনার। ছবিটি হিন্দি, তামিল, তেলেগু এই তিনটি ভাষায় প্রথমে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এবং গত সেপ্টেম্বর মাসে সিনেমা হলে মুক্তি পায়।
একটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেছেন,”যেসময় শিবসেনা আমার অফিস ভাঙে, সেই সময়েই বিধানসভায় জয়ললিতার অপমানের দৃশ্য শ্যুট করছিলাম আমি। বাস্তবের সঙ্গে সিনেমার এই মিল আমাকে চমকে দিয়েছিল!”
কোথাও কি নিজের জীবনে জয়ললিতার ছায়া দেখেছিলেন রাজনৈতিকভাবে সরব এই অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত? প্রসঙ্গত, একইরকম ভাবে জয়ললিতা নিজেও দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী এবং ক্লাসিক্যাল নৃত্যশিল্পী ছিলেন। তাঁর অভিনয় এবং রাজনৈতিক জীবনকে পর্দায় সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলতে কঙ্গনাও ভারত নাট্যম, কুচিপুরি নৃত্য এমনকি পিয়ানো পর্যন্ত শিখেছিলেন। এই পিরিয়ডিক চলচ্চিত্রে ৬০ দশকের গানের ব্যবহারও প্রশংসিত হয়।
মুক্তি পাওয়ার সাথেসাথেই দর্শক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ‘থালাইভি’। কঙ্গনা রানাওয়াত অভিনীত জয়ললিতার জীবন নির্ভর এই ছবি ২৫ ডিসেম্বরই ওয়র্ল্ড টিভি প্রিমিয়ারে আসতে চলেছে।