রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা (Flood Situation Warning in Bengal)। শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি বাড়ার ফলে পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাই আগে থেকে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন।
এ দিন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব উত্তরবঙ্গের সব জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন। ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে পারে। সেই অনুযায়ী জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি সব ধরনের ত্রাণ যাতে মজুত থাকে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির জেরে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। ফলে নিম্ন দামোদার অববাহিকার নদীগুলির সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলিতে সেনা মোতায়েন পর্যন্ত করা হচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলিতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ২ কলম সেনা নামানো হয়েছে হাওড়ার বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে।
উদ্ধারকাজ এবং প্রস্তুতি জন্য বীরভূম এবং বর্ধমানে দক্ষ আইএএস অফিসারদের পাঠানো হচ্ছে। যে এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা , সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ডিভিসি ক্রমাগত জল ছাড়ায় হুগলি, হাওড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এ দিন দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে বন্যা মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।