এবার মাঝারি দূরত্বের ট্রেনগুলিকে নতুনভাবে রূপদান করতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। স্বল্প সময় ও দূরত্বের সফরেও যাতে ট্রেনযাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করতে পারেন, তার জন্যই আসতে চলেছে ‘মেমু’ রেক। মেমু অর্থাৎ Mainline Electric Multiple Unit.
চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হচ্ছে এই মেমু রেক। যা নিত্যযাত্রীদের যাত্রায় অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসবে। ভাড়ার ব্যাপারটাও অবশ্যই মাথায় রাখা হয়েছে। এই ট্রেন সফরে মোটেও বাড়তি ভাড়া গুনতে হবেনা যাত্রীদের। শিয়ালদা-লালগোলা ডিভিশনেই প্রথম চালু হবে এই ট্রেন। গতকালই বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও জগন্নাথ সরকার ব্যারাকপুরে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন। এখনও পর্যন্ত ২ টি রেক এসে পৌঁছেছে ,আরো ২ টি আসবার অপেক্ষা।
ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে এই মেমু ট্রেন। মেট্রোরেলের মতোই রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম থাকার ফলে ইলেকট্রিকের খরচেও বছরে প্রায় ৭০ লাখ টাকামতো সাশ্রয় হবে বলেই জানাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ইস্টার্ন রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলছেন, “নতুন রেকগুলিতে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়বে। সফরের সময় এবং রক্ষনাবেক্ষনের ঝক্কিও অনেকটাই কমবে।”
সাধারণ ট্রেনের কামরার থেকে উন্নতমানের এই ১২ কোচের মেমু ট্রেন। স্টেনলেস স্টিল দিয়ে নির্মিত এই কামরাগুলি ওজনে হাল্কা, থাকছে ইথারনেট নির্ভর কন্ট্রোল সিস্টেম, এবং জিপিএস নির্ভর প্যাসেঞ্জার ইনফর্মেশান সিস্টেম। জরুরিকালীন অ্যালার্ম ও এমারজেন্সি বোতাম এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থা তো রাখা হচ্ছেই। তাছাড়া গদিদেওয়া সিট, সিসিটিভি ক্যামেরা, আলোকসজ্জা, ডিজিটাল ডিসপ্লে নেয়ে সেজে উঠছে অত্যাধুনিক এই মেমু রেক। প্রায় এক্সপ্রেস ট্রেনের উপলব্ধিই করতে পারবেন যাত্রীরা। এবার নিশ্চয়ই ভাড়ার কথা ভেবে চিন্তিত হচ্ছেন সবাই!
না, মাঝারি দূরত্বের এই স্পেশ্যাল মেমু ট্রেনের ভাড়া থাকবে লোকাল ট্রেনের মতোই। এমনটাই জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।