দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনে ঢোকা নিষিদ্ধ ভারত সহ অন্যান্য দেশের। ভারত চীন আমেরিকা সহ অন্যান্য সব দেশকেই করোনা মহামারী রূপ ধারণ করায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল । কিন্তু পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসা সত্ত্বেও ভারতকে ভিসা দিতে রাজি হচ্ছেনা চীন। অন্যান্য দেশের প্রতিও একই নিষেধাজ্ঞা জারি রাখছে তারা। এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অবৈজ্ঞানিক বলছে ভারত। তাহলে কেন চীনের এই সিদ্ধান্ত?
চীনের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিসরী ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে চীন সরকারের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা চালান।বোঝানোর চেষ্টা করেন– পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। সেই কারণে ভারত সহ অন্যান্য দেশও প্রবেশের অনুমতি দিয়ে ভিসা দিচ্ছে। এমনকি চীনকেও ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত।
কিন্ত চীন সরকার তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। যার ফলে সেখানে পড়তে যাওয়া অসংখ্য ছাত্রছাত্রী অসুবিধায় পড়েছে। চীনের প্রবাসী চাকুরিজীবি ও ব্যবসায়ীরাও সমস্যার মুখোমুখি।
চীন সরকারকে এই সিদ্ধান্ত বদল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সেখানকার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছেন — বিষয়টি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষ। এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু কেন?
তার উত্তর সরাসরি না দিলেও একটি সম্ভাবনার কথাই মনে হচ্ছে। যে চীনকে এতদিন ‘করোনা’ ভাইরাসের উৎস বলে কোনঠাসা করা হচ্ছিল, এটা তারই প্রত্যুত্তর নয় তো!
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি রিপোর্টে চীন দাবি করেছে ‘করোনা ভাইরাস’ এর উৎপত্তি সেখানে নয়।
এর আগে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে সবাই জানতো ২০১৯ এর ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। যার ফলে সমস্ত দেশই চীনের দিকেই অভিযোগ তোলে। কিন্তু এবার চীনের দাবী — তাদের দেশে এই ভাইরাসের উৎস নয়।
একটি রিসার্চ পেপারে ‘মডেল হাইব্রিড ড্রিভেন মেথড ‘ নামক একটি বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে নতুন যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে — আমেরিকায় প্রথম কোভিড সংক্রমণ শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাসে, অর্থাৎ চীনে সংক্রমণের আগেই।
এমনটাই দাবি করছে চীনের সমীক্ষা। আরও এক ধাপ পিছিয়ে ‘আয়ারল্যান্ড’ কেই কোভিড-এর প্রথম উৎসস্থল বলেও হালকা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।