বিধানসভা ভোটের আগে মোহাবিষ্ট হয়ে যেসব নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের উচিত শিক্ষা দিতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে বিজেপি হারার পর সেইসব নেতারা পিলপিলিয়ে ঘরে ফিরছেন। ফেরত নেওয়া হবে, কিন্তু তাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। এ ব্যাপারে অনমনীয় অভিষেক।
দক্ষিণের গোসাবা এং উত্তরের খড়দা উপনির্বাচনের প্রচার সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জায়গাতেই জ্বালাময়ী ভাষণে উঠে এল দলত্যাগী দল ফেরতদের প্রতি কঠিন বার্তা। একই সঙ্গে দলের সাধারণ কর্মীদের মান্যতা দেওয়ার সপক্ষে জোরালো মতামত রাখলেন তিনি।
দলের একনিষ্ঠ নেতাদের স্মরণ করিয়ে অভিষেক বলেন, “একদিকে তৃণমূলের জয়ী বিধায়করা মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ দিচ্ছেন, অন্যদিকে বিজেপির জয়ী বিধায়করা মানুষের ভাবাবেগ ও জনমতকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের লালসা চরিতার্থ করতে মন্ত্রী হওয়ার জন্য ইস্তফা দিচ্ছেন। এটাই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে পার্থক্য”।
উল্লেখ্য, গোসাবা ও খড়দা দুই কেন্দ্রেরই তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর এবং কাজল সিংহ বিধানসভার ফল ঘোষণার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
উল্টোদিকে, বিজেপি নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার লোকসভার সদস্য পদের লোভেই বিধায়ক পদ ত্যাগ করেন। এই দুই পরস্পর বিরোধী তুলনাই এদিন তুলে দিয়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বললেন, “বিজেপির গদ্দারদের ঢুকতে দেবনা”। যেসব নেতারা বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফিরতে চান তাদের প্রতি কড়া বার্তা — প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
আর ইতিমধ্যেই যাঁরা ফেরত এসেছেন যেমন – মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়! তাঁরা কী করছেন!
অভিষেক জানালেন, “প্রায়শ্চিত্ত করাচ্ছি। নেত্রীর পায়ে ধরে বলেছি, কর্মীদের মতামতকেই মান্যতা দিতে হবে”।