তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম আর বিজেপির সায়ন্তন বসু ; দুজনের বাকযুদ্ধ মাতলো চরমে । একে অপরের প্রতি কটাক্ষ যে রাজনীতির অন্যতম আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে তা বলাবাহুল্য । বর্তমানে , ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির হয়ে প্রচারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ফিরহাদ । আর তাঁকে পাল্টা চাল দেওয়ার চেষ্টায় মত্ত বিজেপি । প্রায় প্রতিদিনই মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে প্রচারে নামছেন ফিরহাদ হাকিম । কিছুদিন আগে প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল নেতার হাতে ব্যাট তুলে নেওয়ায় অবাক হয়েছিলো সকল শহরবাসী । এরপরই আসরে নামে বিজেপি । বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর নামে অভিযোগ জানায় তারা । এবার আরো একধাপ এগিয়ে ফিরহাদকে আইএসআই এজেন্ট বলে কটাক্ষ করলো বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ।
সায়ন্তন বসু বলেন , ” ফিরহাদ হাকিম বাঙালি নয় । এখানকার লোকে ফিরহাদ হাকিমকে তো আইএসআই-এর এজেন্ট বলেন । বর্তমানে কয়েকজন আধা বিজেপিকে দলে যোগ দিয়ে তৃণমূল লাফালাফি করছে । আমরা এটুকু বলবো ববি হাকিম আগে নিজে ঠিক করুন তিনি কোন দলে থাকবেন । ফিরহাদ হাকিম নিজে ঠিক করুক তিনি অভিষেক ব্যানার্জির দল করে সেখানে তাঁর অনুগামী হয়ে কাজ করবেন না তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় দেবেন । “
এই কটাক্ষের পর ফিরহাদ হাকিম চুপ করে থাকেননি । তিনি বলেন , ” বিজেপি বিভেদমূলক রাজনীতি করে আর সেই কারণেই সায়ন্তন বসু কোনোদিন ভোটে জিততে পারেননি । প্রয়ইবার হারেন তিনি । বাংলায় নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি । বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি । ” এছাড়া তিনি আরো বলেন , ” আমি যেখান থেকে প্রচুর ভোটে কাউন্সিলর পদে জিতেছিলাম সেখানে কিন্তু কোনো সংখ্যালঘু ছিলোনা । সাধারণ মানুষ আমায় নিজের মনে করেন বলেই আমায় ভরসা করেন তাই আমার জয় । আমি সবসময় মানুষের পাশে থাকি তাই আজ বাংলার মানুষ আমায় ভালোবাসে । এই রাজ্যে বিজেপির কোনও ভবিষ্যত নেই বলে বিজেপি ছাড়ছেন সবাই । “
ফিরহাদ ও সায়ন্তন বসুর লড়াইয়ে ময়দান যে মেতে উঠেছে তা ঠিক আর এর মধ্যে বাবুল সুপ্রিয়ের তৃণমূলে যোগদান , বিজেপির তাঁর প্রতি আক্রমণ এবং বিজেপির ভাঙনে রাজনীতি যে জমে গেছে তা বলা যায় ।