রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসাবে সোমবার দ্বায়িত্ব নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুকান্ত মজুমদার।এদিন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপির সদর দপ্তরে দায়িত্বভার গ্ৰহন করেন ড. সুকান্ত মজুমদার।
মঙ্গলবার সকালে কলকাতা পৌঁছে ড. সুকান্ত মজুমদার সোজা চলে যান রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে বিজেপির সদর দপ্তযরে তিনি প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে দায়িত্বভার গ্ৰহন।সভাপতির দায়িত্বভার পাওয়ার পরই কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার সময় বিস্ফরক মন্তব্য করলেন সুকান্ত বাবু। সুকান্ত বাবুর বক্তব্য হল,বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সকলের সঙ্গে কাঁধ ও পা মিলিয়ে আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গকে আফগানিস্তান হতে না দেওয়ার জন্য যে লড়াই সকলে লড়ছেন, সেই লড়াই আগামী দিনেও চালু রাখতে হবে। তাদের দলের ১৯০ জন প্রাণ দিয়েছেন সে কথাও তিনি তুলে ধরেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকরা সব সময়ের জন্য তৈরী আছেন।
তিনি মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গে ‘তালিবানাইজেশন’ চলছে এর বিপক্ষে তাদের দল লড়ে যাবে। সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্য করার পর বেজায় চটেছে তৃণমূল নেতৃত্ববৃন্দ।তাঁর পাল্টা জবাবে তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে আসল তালিবান বলে কটাক্ষ করেন।কল্যানবাবু আরও বলেন পশ্চিমবঙ্গে বাকস্বাধীনতার অধিকার আছে বলে আছে বলে সুকান্ত মজুমদার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করতে পেরেছেন। উত্তর প্রদেশ এবং ত্রিপুরায় বিরোধীদের বাক স্বাধীনতা খর্ব করা হয় তা তিনি মনে করিয়ে দেন।
কল্যাণ বাবু আরও জানান সুকান্ত মজুমদার শিক্ষিত মানুষ হওয়া স্বত্তেও কিভাবে এত কটূকথা বললেন। সুকান্ত বাবু দিলীপ ঘোষের থেকেও নিকৃষ্ট মানের বক্তব্য রেখেছেন।তাঁর মত শিক্ষিত মানুষের থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করা যায় না।তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় সুকান্তর কুরুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সুখেন্দু বাবু জানিয়েছেন,গোটা ভারতবর্ষে বিজেপির নেতৃত্বে তালিবানি রাজ চলছে এবং সুকান্ত মজুমদার তিনি যতই আস্ফালন করুন না কেন, এই আস্ফালন বাংলার জনগন ভবিষ্যতে গ্রাহ্য করবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সরকার গঠিত হয়েছে বিজেপি সহ্য করতে না পেরে তারা এই সব কথা বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় তাঁরা ভালো চোখে নেয় নি, তাই এই সব ঘৃণ্য মন্তব্য করছে।