রোশনি আলির করা মামলায় হাইকোর্টের রায় নাকচ করে শেষপর্যন্ত বাজি পোড়ানোর অনুমতিই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শর্ত হল, পরিবেশবান্ধব বাজি হতে হবে। পরিবেশবান্ধব বাজি কীভাবে চিনবেন প্রশাসন কর্তৃপক্ষ? সেই উপায়ও বাতলানো হল।
হাইকোর্টে রোশনি আলি-কৃত মামলার রায়ের বিরুদ্ধে পুনরায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাজি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি’। সোমবারই ছিল সেই মামলার শুনানি। বাজি ফাটনো ও বিক্রীর হাইকোর্ট নির্ধারিত অসম্মতির পক্ষে ও বিপক্ষে তীক্ষ্ণ সওয়াল জবাব চলার পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকলেন। মামলায় জয়ী হল বাজি বিক্রেতারা। তবে শর্ত হল — শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব বাজি অর্থাৎ গ্রীন ক্র্যাকার্স বিক্রী করতে হবে।
দ্বন্দ্বটা এই জায়গাতেই তৈরি হয়। রোশনি আলির সপক্ষে দাঁড়িয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেছিলেন, “পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করার মাপকাঠি কী হবে? পরিবেশবান্ধব নাম দিয়ে তার সাথে সাধারণ বাজিই যে বিক্রী হবেনা তার গ্যারান্টি কোথায়?
ঠিক সেই প্রশ্নটাই সুপ্রিম কোর্টে রাখেন রাজ্যের আইনজীবী আনন্দ গ্রোভার। তিনি প্রশ্ন করেন, “সাধারণ বাজি এবং পরিবেশবান্ধব বাজির তফাত বোঝা যাবে কীকরে?”
এক্ষেত্রে রাজ্যের পরিকাঠামো আরো উন্নত করার নির্দেশ দেন বিচারক। অর্থাৎ রাজ্যকেই এ উপায় বার করতে হবে।
বাজী ব্যবসায়ীদের পক্ষের আইনজিবী ত্রিবেদী অবশ্য একটি অস্থায়ী উপায় বাতলেছেন। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই বেশকিছু পরিবেশবান্ধব বাজি খুচরো বিক্রতাদের কাছে পৌঁছে গেছে। ওই বাজির প্যাকেটে নির্দিষ্ট কিউআর কোড স্ক্যান করলেই তফাত ধরতে পারা যাবে”।
এই উপায়ে প্রতিটি বাজারের প্রতি দোকান ঘুরে ঘুরে কিউআর কোড স্ক্যান করে পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করার ব্যাপারটা আদৌ কতটা সম্ভবপর হবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবু আপাতত এই নির্ধারণকে সামনে রেখেই অবশেষে বাজি পোড়ানোয় চূড়ান্ত সম্মতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।