রবিবার শেষ দিনের ভোটের প্রচারে বেরিয়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হলেন সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তায় ঢুকতে যেতেই তাদের আটকায় পুলিশ। জোর করে ঢুকতে গিয়ে শুরু হয় পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তি।
আসন্ন উপনির্বাচনে ভবানীপুরের সিপিএম প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শ্রীজিব বিশ্বাস। ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট। আজ তাই জোর প্রচার সেরে নিতে চাইছেন সিপিএম। শুধু প্রচার নয়, রবিবারে প্রচার করতে গিয়ে বামেরা খবরের শিরোনামে।
ভোট প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস মিছিল করে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকতে যাওয়ামাত্রই বাধা দেয় পুলিশ। ভোট মিছিল নিমেষে আইন অমান্য আন্দোলনের চেহেরা নেয়। বাম নেতা ও মিছিলকারীরা সেই ব্যারিকেট ভেঙে জোর খাটিয়ে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। অবশেষে মু্খ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচার করেছেন বামেরা, কিন্তু ৫ জন সঙ্গে নিয়ে। মিছিলের প্রথমত সারিতে প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
পুলিশি বাধা প্রসঙ্গে অভিযোগ জানিয়ে সুজন বলেন,” প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার কর্মসূচি ঠিক করাই ছিল। পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, কমিশনেরও অনুমতি রয়েছে তাসত্ত্বেও আমাদের আটকানো হয়েছে। এমনকি প্রার্থীকে ধাক্কাও দেওয়া হয়েছে”।
এই প্রসঙ্গটাকে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম হাল্কা ছলে উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালে প্রেস অ্যাট্রাকশান হয়। সবাই সেটাই চায়”।
পুলিশের সাথে ঝামেলা যে ইচ্ছাকৃত এমন ইঙ্গিতই করেছেন ফিরহাদ হাকিম।
আগের বক্তব্যের সূত্র ধরেই ব্যঙ্গের সুরে তিনি বলেন, “সিপিএমের অনেকদিন কোনো খবরাখবর ছাপা হয়না। অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছেন।সুজনদা অনেকদিন টিভিতে আসেননি, অ্যাকশানে দেখা যায়নি। বুড়ো বয়সে অ্যাকশান করে সুজনদা এখনও যে মার্কেটে আছেন সেটা অন্ত মানুষ জানলো!”
এর উত্তর সিপিএম নেতারা দেবেন কিনা জানা নেই, তবে মানুষ কী চাইছে, সে উত্তর ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেহ জানা হয়ে যাবে।