বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়ান্টকে ঘিরে। ভারতেই আক্রান্ত ৭৮১ জন। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশসফর বাতিল করা হয়েছে। দেশবাসীদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী?
আমিরশাহী ও কুয়েত সফরের পরিকল্পনা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার কারণে সে যাত্রা বাতিল করা হল। তবে এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতেও আতঙ্কিত হতে নিষেধ করছেন প্রধানমন্ত্রী। সচেতনতার দিকেই জোর দিলেন তিনি।
দেশের মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৭৮১ জনের মধ্যে অনেককেই পাওয়া গিয়েছে যারা সাম্প্রতিক অতীতে বিদেশযাত্রা করেননি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই গোষ্ঠী আক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এখনই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত মতামত দেননি, বিষয়টি পরীক্ষাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, “জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ থেকে ১৫–১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু হবে। কেননা বাচ্চারা এখন স্কুল কলেজে যাওয়া শুরু করেছে। তাদের জন্য ভ্যাক্সিনেশন জরুরী।”
তারই মধ্যে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের উর্দ্ধমুখী গ্রাফ। বিশেষজ্ঞদের মতে সেটা হওয়ারই কথা, কেননা কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ততটা মারণক্ষমতাযুক্ত না হলেও দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে পারদর্শী। কিছুটা সেই মতামত উল্লেখ করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন,
“ওমিক্রন বাড়ছে, তবে আতঙ্কিত হবেননা। সতর্ক থাকুন। মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোওয়া সহ কোভিড বিধি মেনে চলুন। এই সময়ে ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সকলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে।”
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, “আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। কিন্তু তার জেরে যেন ওমিক্রন না ছড়ায়, সেদিকেও নজর রাখা জরুরী। আমাদের সৃজনশীল উদ্যম বাড়ছে। এই মূহুর্তে দেশে ১৮ লক্ষ বেড রয়েছে। আইসিইউ ও নন-আইসিইউ মিলেয়ে ৯০ হাজার জরুরী শয্যা রয়েছে। প্রয়োজনীয় কিটস সহ ৪ লক্ষ অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে প্রতিটি রাজ্যকে।”
কোভিড যেমন বাড়ছে, রূপ বদলাচ্ছে তেমনই তার মোকাবিলায় আমরাও আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত। সেই বার্তা দিয়েই অযথা আশঙ্কিত না হয়ে, সচেতন হওয়ার দিকেই জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।