চিনের মতো অন্যান্য বেশকিছু দেশে মহিলাদের রেলসেবিকা রূপে পরিষেবা প্রদান করতে দেখা যায়। এবার সেই ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে চালু করতে চলেছে ভারতীয় রেল।
বিমানে এয়ার হোস্টেস দেখতে অভ্যস্ত সবাই। কিন্তু ‘রেল হোস্টেস’ ট্রেনে? ভারতে সাধারণভাবে সেটা প্রচলিত নয়। যদিও এর আগে তেজশ এক্সপ্রেসের মতো বিশেষ কিছু ট্রেনে এই পরিষেবা দেখা গিয়েছে, তবে সেটা ছিল নেহাতই পরীক্ষামূলক।
এবার সেই ব্যবস্থাকেই বেশ কয়েকটি প্রিমিয়াম ট্রেনে প্রচলিত করতে চলেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। এসব ট্রেনে সফরকারী যাত্রীদের ওয়েলকাম জানানো, খাবার পরিবেশন সহ প্রয়োজনীয় পরিষেবার জন্য নিযুক্ত থাকবেন মহিলা ‘রেল সেবিকা’।
তবে সমস্ত ট্রেন নয়, এক্ষেত্রে বিশেষ সময়নির্ভর কয়েকটি ট্রেন বেছে নেওয়া হচ্ছে। IRCTC-র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শতাব্দী , গতিমান , তেজশ এক্সপ্রেস সহ অনেকগুলি প্রিমিয়াম ট্রেন, যেগুলি দিনেরবেলা চলে, সেই ট্রেনগুলিতেই রেলসেবিকা নিয়োগ করা হবে। তবে রাজধানী ও দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো রাত্রি সফরকালীন ট্রেনগুলিতে পুরুষ সেবকরাই থাকবেন। অর্থাৎ শুধুমাত্র দিনেরবেলা সফরকালেই ট্রেনে রেলসেবিকা উপস্থিত থাকবেন পরিষেবার জন্য, রাতেরবেলা নয়।
ইতিমধ্যেই দেশের মোট ২৫টি প্রিমিয়াম ট্রেন ও বেসরকারী ট্রেন ‘বন্দেভারত’-এ মহিলা কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই জানাচ্ছে IRCTC (অবশ্যই শুধুমাত্র দিনের ট্রেনের জন্য)। এইসমস্ত ট্রেনে যাত্রীরা শিগগিরই রেলসেবিকা দেখতে পাবেন।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদেরই নিয়োগ করতে চলেছে রেলকর্তৃপক্ষ। তাঁদের সবার ইউনিফর্মও নির্দিষ্ট করা হচ্ছে, সমস্ত ট্রেনেই রেলসেবিকারা একইরকমের ড্রেসকোড যুক্ত পোশাক পরে যাত্রী পরিষেবায় নিযুক্ত হবেন।
কিন্তু পুরুষের পরিবর্তে হঠাৎ মহিলা নিয়োগ কি শুধুই যাত্রীদের আকর্ষণের জন্য? একেবারেই না, IRCTC-র মতে নতুন এই উদ্যোগের কারণ মহিলাদের কর্মনিষ্ঠা অর্থাৎ Dedication. এছাড়াও, মহিলা সেবিকারাই যাত্রীদের অভাব অভিযোগ ভালো বুঝতে পারবেন বলেই মনে করছে রেলকর্তৃপক্ষ। তাই এই সিদ্ধান্ত।