ভবানীপুরে আজ জোর লড়াই। উপনির্বাচনে মমতা বনাম প্রিয়াঙ্কা। ভোটদানপর্বও শুরু হয়েছিল তাড়াতাড়ি। যদিও ভবানীপুরের রীতি অনু্যায়ী সকাল সকাল ভোট দিতে খুব বেশি মানুষ লাইনে দাঁড়াননি। এলাকাবাসীর মতে ভবানীপুরে এমনই হয়। বেলা যত বাড়ে, ভোটার ততই বাড়ে। আর ততই বাড়ে উত্তেজনা।
সকাল নটা পর্যন্ত তখন ৭.৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
ভোটপর্বও চলছিল নির্বিঘ্নেই।
কিন্তু সাতসকালেই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল হঠাৎ অভিযোগ করে বসেন ,”৭২ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ জ্যাম করছে তৃণমূল। ওটা মদন মিত্রের এলাকা। ১২৬ নম্বর বুথের ভোট শুরুই করা যায়নি “।
প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্য নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায়। যদিও সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ১২৬ নম্বর বুথে ভোটপর্ব তখন শুরু হয়ে গেছিল।
পাল্টা ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনিও প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়ালের উদ্দেশ্যে বলেন,”এখানে মদন মিত্রের এলাকা বলে কিছু আছে নাকি!এটা পুরোটাই মমতা ব্যানার্জীর এলাকা”।
সুদুর কামারহাটির বিধায়ককে ঘিরে দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ভবানীপুরে এমন বিতর্ক কেন তৈরি করলেন প্রিয়াঙ্কা? সে প্রশ্নেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়।
ভোটের দিন অশান্তির কথা বলে আগাম পূর্বাভাস দিতে চেয়েছিলেন অনেকেই। বিজেপির নতুন রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন “ভবানীপুরে রিগিং হওয়ার আশংকা রয়েছে”।
এছাড়াও গতকাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মন্তব্য করেছিলেন, “তৃণমূল বিরোধীদের বাড়ি থেকে বেরোতেই দেবেনা তৃণমূল “। স্বাভাবিক ভাবে তাই প্রিয়াঙ্কার মন্তব্যে সাড়া পড়ে যায়।
কিন্তু কার্যত ভবানীপুরে রিগিং এর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, এবং বলেছেন ,”এসবই হেরে যাবার আগের বাহানা। সিসিটিভি রয়েছে,মাইক্রো অবসারভার রয়েছে, মানুষ ভোটের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছে। বিজেপি অকারণে অভিযোগ করছে”।
তারপরেই প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়ালের উদ্দেশ্যে পাল্টা ব্যঙ্গ করেন তিনি। আসলে ব্যঙ্গের মাধ্যমে এক ঢিলে দুপাখি মেরেছেন ফিরহাদ। প্রিয়াঙ্কার ভুল যেমন ধরিয়েছেন, তেমনি পরোক্ষে বলেই দিয়েছেন ভবানীপুর মানেই মমতা ব্যানার্জী।
পরশু থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি। সকাল পর্যন্ত ভোটপর্বে কোনো অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।