ঘরের মেয়েকে ঘরে ফেভবানীপুরে সিপিএম – বিজেপিকে টেক্কা দিতে তৃণমূলের নিখুঁত স্ট্র্যাটেজি রাতে শুরু হয়ে গেল জয় হিন্দ বাহিনীর জোর কর্মসূচি। ভবানীপুর উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সাজ সাজ রব।
আক্ষরিক অর্থাই ভবানীপুর হট সিট। ‘বাংলার বেটিয়া’র নিজের এলাকা বলে কথা। ভোটের প্রচারে সিপিএম বা বিজেপির চেয়ে তারা যে দুকদম এগিয়ে থাকবে সেটাই প্রত্যাশিত।
লক্ষ্য ৩০ সেপ্টেম্বর হলেও আগের এই দিনগুলোই যে ভোটবাক্সে প্রতিফলন দেবে সেটা তৃণমূল বিলক্ষণ জানে। ভবানোপুরের সাথে তারা যে হাড়ে মজ্জায় পরিচিত। তাই প্রচারে কোনোরকম খামতি রাখতে চাইছেনা তারা। স্ট্র্যাটেজি নিখুঁত। একটি বাড়িও যাতে বাদ না যায়, তাই ৭ জন নেতাকে বেছে বেছে ভবানীপুরের মোট ৮ টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলবেন।
শুধুই দায়সারা ভোট চাওয়া নয়, তাদের কী কী সমস্যা, সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা জানতে চাওয়া হবে সবকিছু। প্রয়োজনে শোনা হবে তাদের মতামত। এছাড়াও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও কী কী কাজ করেছেন বা আগামী প্রকল্পগুলো কী, প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি বিষয় জানাবেন ভোটের প্রচারকরা। ভোটাররা যে শুধু ভোটার নয়, প্রতিটি পরিবারের সাথে যে দিদির যোগাযোগ নিবিড় সম্ভবত এই বার্তাই দিতে চাইছেন তারা।
অবাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চল বলে কলকাতার ভবানীপুরকে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ বলা হয়। এই মিনি ইন্ডিয়ার ঘরে ঘরে নিজেদের কথা পৌঁছে দিতে বাংলার পাশাপাশি ছাপানো হচ্ছে হিন্দি ও ইংরেজি লিফলেটও। তাছাড়া এই কদিন ধরে গোটা বিধানসভা কেন্দ্রের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মোট ৫৬ টির মতো পথসভা করা হবে।
পথসভা আজ থেকেই শুরু হওয়ার কথা। বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী সহ তৃণমূলের তাবড় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন। ১৬ তারিখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই কোনো একটি পথসভায় হাজির থাকবেন বলে খবর।
৩০ তারিখকে সামনে রেখে এখন থেকেই ভবানীপুরের দেয়ালগুলো সেজে উঠছে রঙবেরঙের ‘খেলা হবে ‘ শ্লোগানে। খেলায় ভবানীপুরের জনতাই যে শেষ কথা বলবে, এটা বোঝাতেই ঘরে ঘরে আসন জমিয়ে বসছেন তৃণমূল বাহিনী।