ভবানীপুরে হারের জন্য সংগঠনকাই দায়ী করেছেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল। দিলীপ ঘোষ আরও একটু সুর চড়িয়ে বললেন, “ভবানীপুরে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে ঠিকই। কারণ গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে বিরোধীদের প্রচার করতে দেয়নি। অনেকেই ভয়ে বেরোতে পারেননি ভোট দিতে”।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে একাধিক বাধা পেলেও, ভোটের দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে আনা একের পর এক অভিযোগ ধোপে টেঁকেনি। স্বয়ং নির্বাচন কমিশন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হার স্বীকার করে মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সৌজন্য দেখিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। একই সঙ্গে নিজেই ঘোষণা করেছেন— হেরে গেলেও এই রাউন্ডে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কাই।
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও অনেকটা প্রিয়াঙ্কার সুরেই সুর মিলিয়ে বলেছেন, “ভবানীপুরে যে রেজাল্ট আশা করা হয়েছিল তাই হয়েছে। লিড একটু বেশি হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম আরেকটু কম হবে”।
আর তার জন্য ভোটারদের ঠিকমতো ভোট দিতে না পারাকেই কারণ হিসেবে দেখছেন দিলীপ ঘোষ। তবে আগামী ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচন সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ। বলছেন ওইসব জায়গায় বিজেপির সংগঠন ভালোই রয়েছে। ‘ফাইট’ দেবে বিজেপি।
৩০ অক্টোবর দিন স্থির হয়ে চার কেন্দ্র — দিনহাটা, গোসাবা, খড়দা ও শান্তিপুরে। ইতিমধ্যেই ওই চার কেন্দ্রে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের কনফিডেন্স কি তাহলে আরেকটু বেশিই? সেটা ৩০ অক্টোবরেই বোঝা যাবে।
প্রসঙ্গত , বিধানসভা নির্বাচনের পর শান্তিপুর ও দিনহাটায় বিজেপির দুই বিধায়ক পদত্যাগ করেছিলেন, এবং গোসাবা ও খড়দা এই দুই কেন্দ্রে বিজয়ী তৃণমূল বিধায়কদের মৃত্যু হয়েছিল। যার ফলে ওই ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন সংঘটিত হতে চলেছে।