ছাপ্পা ভোটার আর কোনও কাজেই লাগবেনা, কেননা চাইলেও একজনের বেশি ভোট দেওয়া যাবেনা, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এমনই সংশোধন হতে চলেছে এবার।
গত সোমবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আলোচনা অনু্যায়ী লোকসভায় একটি নতুন নির্বাচনী সংশোধনী বিল আনা হয়। এই বিলের উদ্দেশ্য হল, ভোটার আইডি কার্ড এবং ভোটার লিস্ট- এর সাথে আধার কার্ডের লিঙ্ক করানো। অর্থাৎ আধার লিঙ্ক মারফত, সিস্টেম দ্বারাই ভোটার চিহ্নিত হবে। এর ফলে ভূয়ো ভোট দেওয়া থেকে অনেকটা বিরত করা যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সুতরাং এবার আর শুধুমাত্র ভোটার কার্ড নয়, ভোট দানের ক্ষেত্রে আধার কার্ডও অপরিহার্য গণ্য হতে চলেছে। যদিও এই বিল আপাতত লোকসভায় পাশ করানো ফলে একধাপ এগোনো গেছে, এরপর রাজ্যসভায় বিল পাশ হলে তবেই পুরোপুরি এই ব্যবস্থা কার্যকর করা যাবে। উল্লেখ্য, রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস এই বিল সমর্থন করেছে।
নতুন এই নিয়ম সম্পর্কে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হরিশঙ্কর ব্রহ্মা বলেছেন, “ভারতে প্রচুর পরিমাণে ভূয়ো ভোটারের সমস্যা রয়েছে। ২০১২ সালে আমিই প্রথম প্রস্তাব দিই, ভোটার কার্ডের সাথে আধার লিঙ্ক করানো হোক।
যাতে নকল ভোটার কার্ডগুলি চিহ্নিত করে সরিয়ে ফেলা যায়। এমন অনেক ভোটারেরই বিভিন্ন জায়গার একাধিক ভোটার কার্ড রয়েছে। সেকারণেই ভোটার আইডির ডেটাবেস ঠিক করাতে আধার লিঙ্ক অবশ্যই জরুরী।”
তাছাড়াও, বাসাবদলের প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানন্তরকারীদের ক্ষেত্রেও ভোটার কার্ড পরিবর্তন করানো সহজ হবে। তার উদাহরণ দিয়ে হরিশঙ্কর ব্রহ্মা বুঝিয়ে বলেছেন, “ধরা যাক কেউ দিল্লীতে রয়েছেন, কাল তাকে ব্যাঙ্গালোরে বদলি করা হলো। সেক্ষেত্রে ভোটার অ্যাড্রেস চেঞ্জ করতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হবে। কিন্তু আধার লিঙ্ক থাকলে সেটা পরিবর্তন করা আরো সহজ হবে।”
এবার এই বিল সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করার জন্য রাজ্যসভার অনুমোদনের অপেক্ষা।