দুপুরের পর থেকেই একরকম নিশ্চিত হয়ে গেছিল ভবানীপুরে মমতা ব্যানার্জীই জিতেছেন। মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম সহ তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ আগাম আনন্দের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন থেকেই। দিনের শেষে যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়ে বিপুল ভোটে জিতলেন মমতা ব্যানার্জী। এমনকি ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের জয়ের রেকর্ড ছাপিয়ে ৫৮,৮৩২ ভোটে জয়ী হলেন মমতা।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়ালের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমে নিজের পরাজয় মাথা পেতে স্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী। একই সঙ্গে এই পরাজয়ে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
এদিন ফলাফলের পর মমতা ব্যানার্জীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল বলেন,”আমি স্বীকার করছি..ভোটে জেতার জন্য যে সংগঠনের দরকার হয় তা ভবানীপুরে আমাদের ছিলনা । একজন নেতা কখনো হারেন না, জেতেন না। জেতে সংগঠন”। এই কথার মধ্যে দিয়ে প্রিয়াঙ্কা পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের আদ্যন্ত চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি জিততে পারেননি বিজেপি দলের জন্যেই (!)
তবে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানালেও তৃণমূলেকে একেবারে ক্লিনচিট দিতে রাজি নন প্রিয়াঙ্কা। ভোটের দিন সকাল থেকেই যেমন একের পর এক অভিযোগ তুলেছিলেন, বুথ জ্যাম – রিগিং এর একতরফা সেই অভিযোগ থেকে সরলেন না তিনি এবং তাঁর দল।
প্রিয়াঙ্কা সম্ভবত জনগণকে উদ্দেশ্য করেই বলেছেন, “সংগঠনের জোরেই জিতেছে তৃণমূল। তবে সেই সংগঠন কী করে তা আপনারা ভোটার দিনই দেখেছেন। জায়গায় জায়গায় রিগিং, নকল ভোটারদের এনে ভোট করানো সবই ছিল”।
প্রসঙ্গত বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা বুথ জ্যাম অথবা ভূয়ো ভোটার সন্দেহে ভোটের দিন একাধিকবার হল্লা করলেও নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগের ভিত্তিগত প্রমাণ দিতে পারেননি।
তবে প্রিয়াঙ্কা আছেন প্রিয়াঙ্কাতেই। ভোটের দিন ভোর থেকে যেমন একা একাই লড়েছেন (পড়ুন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে) , তেমনই এদিন তৃণমূলের কাছে হার স্বীকার করেও ভবানীপুরের মানুষের প্রয়োজনে, বিপদে আপদে থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন।