আবারো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিবাদ দেখা দিল। এবার রাজ্যপালের ইস্যু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘মা’ কিচেন। তাঁর মতে বরাদ্দ অর্থের ‘অসাংবিধানিক’ খরচ করা হয়েছে। তাই খরচের হিসাব চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল। শনিবারের ট্যুইটে রাজ্যপাল নিজেই সেকথা জানিয়েছেন।
২০২১ সালেরই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সর্বমোট ১৪৪টি ওয়ার্ডের ১৬ টি বোরোয় ‘মা’ কিচেন চালু করা হয়েছে। দরিদ্র মানুষদের জন্য মাত্র ৫ টাকায় ভাত ডাল তরকারি ও ডিম দেওয়া হয়ে থাকে।
এবার রাজ্যসরকারের এই প্রকল্পের দিকেই আঙুল তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যসচিবের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিটিও ট্যুইটের সাথে শেয়ার করেছেন তিনি। এই চিঠিতে উল্লিখিত রয়েছে ‘অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর তৈরি করা যে বাজেট পেশ করেছিলেন মমতা, সেখানে সাফ বলা হয়েছিল , সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ন্যুনতম মূল্যের বিনিময়ে খাবার বিক্রী হবে।’ এরপর রাজ্যপাল জানান আর্থিক বছর ২০২১-২২ হিসাবে এই প্রকল্পটির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। অনুমোদন দিয়ে এই প্রকল্পকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এখন রাজ্যপাল দাবি করছেন, নির্ধারিত সময় ১-লা এপ্রিল ২০২১এর আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই প্রকল্প শুর করা হয়েছে। এই বাড়তি সময়ের খরচের হিসাব তলব করেছেন রাজ্যপাল। কার অনুমোদনে, কোন কোন খাতে কীভাবে টাকা খরচ হয়েছে সেটা বিস্তারিত জানিয়ে সাতদিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুধুু ‘মা’ কিচেন নয়, এর আগেও বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের বিস্তারিত হিসাবও চেয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে কত টাকা কোন খাতে খরচ হয়েছে এবং তার ফলে কতজনের জীবিকা নির্দিষ্ট হয়েছে এইসব খতিয়ান চেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই প্রসঙ্গও আরো একবার খুঁচিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল বলেছেন “এখনও পর্যন্ত বিজিবিএস রিপোর্ট পেশ করা হয়নি। তার মানে অমিত মিত্র নিশ্চয়ই কিছু।গোপন করার চেষ্টা করছেন।”
বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের পুরোনো হিসাবের সাথে এবার যুক্ত হল ‘মা’ কিচেন প্রকল্প। রাজ্যপালের এই চিঠিকে অবশ্য তেমন আমল দিচ্ছেনা তৃণমূল কংগ্রেস।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1472061339728166913?t=xkqPUKfChbeUQSkpSDSfMQ&s=19
এ ব্যাপারে সাংসদ সৌগত রায় স্পষ্ট বলেছেন,”রাজ্যসরকার তার প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে বিধানসভায় জবাবদিহি করবে। রাজ্যপালকে জবাব দিতে রাজ্যসরকার দায়বদ্ধ নয়। উনি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন, এবং অবান্তর কথা বলছেন। এটা তারই দৃষ্টান্ত।”