বিজেপিও কি তবে স্বীকার করে নিচ্ছে, তৃণমূলই তাদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী? কংগ্রেস কিছুই নয়! দিলীপ ঘোষ যা বললেন, প্রকারান্তরে সেটাই বোঝায়।
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন। রাজ্যসভার পদ খুইয়ে বড় একটা আফশোস তাঁর নেই, বরং ‘প্রোমোশন’টাকেই বড় করে দেখে হালফিলে বেশ খুশিই তিনি। তবে সাতসকালে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মমতার পক্ষ নিয়ে যা বললেন এতটা কেউ আশা করেননি। এই দিলীপ ঘোষকে দিলীপ বাবুর ‘নতুন এডিশন’ বলাই যায়।
গত শনিবারই তৃণমূলের দৈনিক মুখপত্রে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কোণঠাসা করা হয়েছে। তৃণমূলই কংগ্রেসের ঐতিহ্য বহন করছে, তাই তৃণমূলই কংগ্রেসের যথার্থ উত্তরাধিকারী — এই বক্তব্যের পাশাপাশি কংগ্রেসকে ‘পচা ডোবা’ বলতেও তৃণমূল এতটুকু কুন্ঠিত হয়নি।
এই আক্রমণাত্মক ভাষার বিপক্ষেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কিছু পাল্টা মন্তব্য করেন। সেই প্রসঙ্গেই দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করায় দিলীপবাবু সোজাসুজি মমতা ব্যানার্জীকেই সমর্থন করে বললেন,”মমতাকে উপহাস করে কোনো লাভ নেই। কংগ্রেসকে এসব মানায়না। এতবড় পার্টি, একটাও এমএলএ নেই! মানুষ কেন তাদের মানবে?”
এই কথা বলে কার্যত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মমতার করা অভিযোগকে সমর্থনই করলেন দিলীপ ঘোষ।
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক হঠাৎ কেন এই সমর্থন?
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন এই সাপোর্ট আসলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধতা প্রমাণেই বেশি সচেষ্ট।
দিলীপ ঘোষের পরের কথাগুলোই সে ইঙ্গিত দিয়ে যায়। তিনি কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে বলেছেন,”আপনারা ভোটের আগে বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলকে মত দিয়েছেন। আপনাদের কোনো জনপ্রতিনিধি নেই!”
তৃণমূল যে কংগ্রেসের চাইতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তারই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় কথা কংগ্রেসের সাথে তৃণমূলের জোট না হলে আখেরে বিজেপিরই লাভ। তাই কি দিলীপ ঘোষের মমতাকে হঠাৎ সমর্থন?
সমর্থন না বলে এটাকে উল্টো করে ভাঙনে ইন্ধনও বলা যায়।