“মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রী হবার যোগ্যই নন ” সরাসরি এই মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির নব নিযুক্ত রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ‘যোগ্যতা ‘ বলতে তিনি ঠিক কী কী গুণ আশা করছেন সেটা অবশ্য বলেননি। তবে এমনই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে ফেলেছেন যাতে ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
সম্প্রতি নদীয়া জেলার হাঁসখালিতে বিজেপি – তৃণমূল সংঘর্ষে দুপক্ষেরই ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা বিজেপি নেতা বিমল বিশ্বাস সবুজ সাথীর সাইকেল চুরি করে বেচে দিচ্ছেন। হাতে নাতে ধরতে গিয়েই বিবাদ এবং গোলাগুলি।
হাঁসখালিতে আহত ওই বিজেপি নেতার কুশল সংবাদ জানতেই নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেছিলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার ।
সেখানকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুখ্যমন্ত্রীর ওপর যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি স্পষ্টতই বলেছেন “যে মুখ্যমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা সামলাতে পারেননা , রাজধর্ম পালনে তিনি ব্যর্থ। অথচ মুখ্যমন্ত্রীত্ব বজায় রাখতে উনি উঠে পড়ে লেগেছেন। প্রশাসনও তাঁর ইচ্ছাপূরণে উঠে পড়ে লেগেছেন…”
এই ভাষায় শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, প্রশাসনের দিকেও তির্যক ইঙ্গিত ছুঁড়ে দেন সুকান্ত। ঠিক তার পরেই বলেন,” আমি মনে করি ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রী হবার যোগ্য, কিন্তু মমতা ব্যানার্জীর মুখ্যমন্ত্রী হবার যোগ্যতা নেই”।
সুকান্তর এই মন্তব্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ ফিরহাদ হাকিমের দিকে কেন ঝোল টানলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি ? এটা কি নিছকই আলটপকা তুলনা! নাকি কোনো গূঢ় ইঙ্গিত রয়েছে এই মন্তব্যের পেছনে!
সংশয়ে রাজনৈতিক মহল।
তবে বিরোধী দলের সুকান্তর এই মন্তব্যে ফিরহাদ হাকিম কোনো পাল্টা প্রতিক্রয়া দেননি। সুকান্তকে উদ্দেশ্য করে শান্তভাবেই বলেছেন ,”এই কথা বলে উনি বাংলার মানুষকে অপমান করলেন। কারণ মমতা ব্যানার্জীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েই বাংলার মানুষ সেই ২০১১ সাল থেকে ভোট দিয়ে আসছেন। এবারেও দিয়েছেন”।
এই জবাব দিয়ে কার্যত ফিরহাদ হাকিম সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যটাকেই সবজান্তা হিসেবে ইঙ্গিত করলেন, এবং প্রকাশ্যে বুঝিয়ে দিলেন ফিরহাদের কাছেও মমতা ব্যানার্জীই শেষ কথা। কে কী বলল তাতে কিবা এসে যায় !