সর্বশক্তি রূপে যখন নারী শক্তিকে পূজা করা হয় তখন কেন কন্যা সন্তানকে হত্যা করা হয়। কখনও বাবা নিজের সন্তান কে মেরে ফেলছে আবার কখনও বা মা বা পরিবারের অন্য কেউ।যার উত্তর আজও আধুনিক সমাজের কাছে অজানা ।
কন্যাভ্রুণ হত্যা থেকে শুরু করে নারী জন্মের কারণে নানা অত্যাচার— এমন উদাহরণের তালিকা দীর্ঘ। শহর থেকে গ্রাম, দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে সর্বত্র ঘটে যাওয়া এই ধরণের ঘটনা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
মনোবিদ ও সমাজকর্মী রত্নাবলী রায়ের কথায়, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ধারাবাহিক ঐতিহাসিক ঘটনা। উৎপাদনের সঙ্গে মহিলাদের সম্পর্ক এখনও কতটুকু? এ কথা ও ঠিক, অসংগঠিত ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ আছে। কিন্তু সংগঠিত ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমীকরণ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে আজ ।রাজনীতিতেও বা এই সমীকরণে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে মেয়েরা? মহিলারা যে শ্রম দেন, তাঁদের কোনও মূল্যই দেওয়া হয় না কোন কালেই। দায় বানিয়ে রাখা হয়েছে মেয়েদের! নারী-পুরুষের সমীকরণ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? রাজনীতিতেও বা এই সমীকরণে কোথায় দাঁড়িয়ে মহিলারা? মহিলারা যে শ্রম দেন, তাঁদের কোনও মূল্যই দেওয়া হয় না।শুধুই দায়,বোঝা এমনই বানিয়ে রাখা হয়েছে মেয়েদের! সামান্যতম স্বীকৃতিটুকুও দেওয়া হয় না আজও এই শিক্ষিত সমাজে।
সমাজকর্মী- মনোবিদ মোহিত রণদীপও কিছুটা একই সুরে কথা বললেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এর মূলে রয়েছে পরিবার ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি।কন্যাকে পরিবারে ‘বোঝা’ মনে করা হয়। ‘কন্যা জন্ম পরিবারের কাছে আর্থিক বোঝা’, ‘চারপাশের সামাজিক-প্রশাসনিক-রাজনৈতিক অবস্থায় কন্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটা বড় সমস্যা’, ‘লালন-পালনের পর বিয়ে করে তো শ্বশুরবাড়ি তো চলে যাবে!’, ‘কন্যাসন্তান বড় হয়ে পরিবারের আর্থিক দায়িত্ব সে ভাবে নিতে পারে না-যতটা পারে পুত্রসন্তান’পারে। মেয়েদের নিয়ে এ ধারনাগুলো এখনও চালু আছে।মানসিকতা বদলের সময় এসেছে।তবেই তো সমাজ বদলাবে।