একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী এখন তাঁর নেতা। কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়? এই প্রশ্নের জবাবে সংবাদমাধ্যমে বাবুল যা বলেছেন, তাতেই তাঁর রাজনৈতিক দর্শন সবার সামনে প্রকাশিত হয়ে গেছে।
শনিবার দলবদল করে তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকে তো ঘটনাটা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি! অভিষেক ব্যানার্জীর সাথে হাসিমুখে করমর্দনের ছবিটাকেও সাজানো ভাবছিলেন কেউ। কিন্তু সত্যিটা তো সত্যিই!
বিজেপি নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে শমীক ভট্টাচার্য , সকলেই বাবুল সুপ্রিয়কে সুবিধাবাদী বলেই কটাক্ষ করেছেন।
কী বলছেন বাবুল সুপ্রিয়? এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য কী?
যার সাথে হাতে হাত মেলানো ছবি ছড়িয়েছে সেই অভিষেকের সাথেই কিছুদিন আগে পর্যন্ত সাপে নেউলে সম্পর্ক ছিল বাবুলের। আইনি মামলায় পর্যন্ত জড়িয়েছেন দুজন একে অপরের সাথে। গরমা গরম চিঠি চাপাটিও চলত।
সেই লড়াই কি থমকে গেল একদিনেই! এর উত্তরে সংবাদমাধ্যমে বাবুল জানিয়েছেন, “এবার আমরা বাক্স বদল করে নেবো। যেসব চিঠি আমি লিখেছি সেগুলো ও আমায় ফেরত দেবে, আর ও যেগুলো লিখেছে সেগুলো আমি ফেরত দেবো”।
এভাবেই খানিক রসিকতার মধ্যে দিয়ে বাবুল সুপ্রিয় নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বিজেপি নেতৃত্বের যে অংশ বাবুলকে ‘রাজনীতির ট্যুরিস্ট ‘ আখ্যা দিয়েছেন, তাঁরা এই সহজ তামাশাকে ঠিক সহজভাবে নিতে পারবেন বলে মনে হয়না।
কিন্তু বাবুল তো বাবুলই! অন্যরা কী বলল কি যায় আসে তাতে! “যখন যেখানে দাঁড়িয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক মনে হয়েছে, করেছি” একথা বলে আসলে বাবুল সুপ্রিয় বুঝিয়ে দিলেন যখন যেমন সেখানে তেমন – এটাই রাজনীতি। অভিজ্ঞরা সেটাই মনে করছেন।