পশ্চিমবঙ্গে “ভোট পরবর্তী হিংসা”বিষয় টি বেশ কিছু সময় ধরেই আলোচনায় আছে। এইবার ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় মানবাধিকার কমিশন কলকাতা হাইকোর্ট কে যেই রিপোর্ট টি জমা দেন তার মধ্যে বীরভূম জেলাকে সব চাইতে বেশি সন্ত্রাসবাদী এলাকার তালিকায় শীর্ষ স্থানে রাখা হয়েছে।
এমন কি এই রিপোর্টে নাম উল্লেখ্য আছে অনুব্রত মন্ডলের ২ জন ঘনিষ্ঠ নেতাদেরও।তার মধ্যে একজন জেলা পরিষধের কর্মদক্ষ। এই নিয়ে খানিক টা হলেও বিব্রত আছে জেলা তৃণমূল। শুধু কি তাই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার কমিশন।
শুধু মাত্র কি পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়ে থাকে! নাকি বিহার উত্তরপ্রদেশ সহ আরও অন্যান রাজ্যেও এই এক অবস্থা? সাধারনত উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক হিংসার মামলা দেখা গেলেও সেখানে খোঁজ মেলেনা মানবাধিকার কমিশনের। তাহলে কি শুধু বাংলা কেই টার্গেট করার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে?
কমিশনের তদন্তকারী দলের দাবি বীরভূম জেলায় প্রায় ৩১৪ টির মত অভিযোগ জমা পড়ে যেখানে অভিযুক্ত হিসেবে ৩ জন তৃণমূল নেতাদের নাম সামনে উঠে আসে। এই অভিযুক্ত দের মধ্যে রয়েছে তৃনমূল নেতা পঞ্চানন খানের নাম, তাছাড়া রয়েছে বোলপুরের নানুর এলাকার বীরভূম জেলা পরিষদের কর্ম্যাধক্ষ কেরিম খান এবং নানুর বিধানসভার কঙ্কালীতলা এলাকার নেতা সেখ মামন। এদের মধ্যে ২ জন তৃণমূল নেতার সাথে আনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে ভোটের পরে কোনো রকম সন্ত্রাস হয়নি বলে জানান বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি।