দিলীপ ঘোষের আলটপকা মন্তব্যের বিপরীতে উল্টো নজির তৈরি করলেন বিজেপি নেত্রী জয়া নায়েক। অংশ নিলেন ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে। অনেকে বলছেন এটা বিজেপিরই নতুন চাল। জয়া বলছেন সাধারণ মানুষের স্বার্থেই তাঁর এগিয়ে আসা।
কিছুদিন আগেই মেদিনীপুরে এসে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের জনহিতকর প্রকল্পকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে গিয়েছিলেন। সেই দলেরই প্রতিনিধি তমলুক পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়া নায়েক নিজের এলাকায় সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পে। ।
তমলুক পুরসভার অন্তর্গত ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই এলাকার মানুষদের সাহায্যার্থে রাজ্যসরকারী ওই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার জন্য জয়া তৈরি করেছেন ক্যাম্প। ‘লক্ষীর ভান্ডারের’ পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথী, ডিজিটাল রেশনকার্ড তৈরিতেও সেখানে সাহায্য করছেন তিনি। বেশ কিছু কোঁচকানো ভুরু আর বিস্ময়ে হতবাক মুখের উত্তরে তিনি স্পষ্টতই বলেন ‘সরকার তো সবার। আর সাধারণ মানুষের স্বার্থই আসল উদ্দেশ্য’।
এই ঘটনাকে ঘিরেও রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলছেই। জয়ার এই ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েও তৃণমূলের একাংশ নরম সুরে তীর ছুঁড়ল ‘বাইরে নিন্দে করলেও আসলে বিজেপি সরকার তৃণমূলের এই প্রকল্পের গুরুত্ব ঠিকই বুঝতে পেরেছে’। এই ঘটনাই নাকি তার প্রমাণ!
ঝাড়গ্রামে বিজেপি সদস্যদের পরিবারকে ‘লক্ষীর ভান্ডার’এ আবেদন করতে দেখে ব্যঙ্গ করতেও ছাড়ছেনা তৃণমূল। অনেকে দিলীপ ঘোষের ভাইয়ের স্বাস্থসাথী কার্ড করানোর কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
মেদিনীপুরের তূণমূল জেলা সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা বলেছেন ‘এরপর বিজেপি সমালোচনা করার আগে ভালো করে ভাবুক’। পাল্টা জবাব দিল বিজেপিও। জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ বলেছেন ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তো কেন্দ্রীয় প্রকল্প। সেই প্রকল্পে তো তৃণমূলের লোকজনও বাড়ি পেয়েছেন। আমরা তো বলতে যাইনি!’
এইসব কথা ছোঁড়াছুঁড়ির একেবারে অন্য মেরুতে নিশ্চুপে সাধারণ মানুষের স্বার্থেই কাজ করতে চান কিছু বিরল ব্যক্তিত্ব। বিতর্ক যাই থাক এই মূহুর্তে তার বড় উদাহরণ জয়া নায়েক। রাজনীতিতে এমন মানুষ আজ সত্যিই প্রয়োজন।