পুরভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই ক্ষিপ্ত শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনকে নির্বাচন বলতেই তিনি রাজি নন, উপরন্তু ফিরহাদ হাকিমকে ব্যঙ্গ করে ‘ছাপ্পাশ্রী’ উপাধি দিতে চেয়েছেন। এবার কিছুটা তারই জবাবে খড়গপুরের এক প্রকাশ্য সভায় মুখ খুললেন মদন মিত্র।
খড়গপুরের পুরভোটের আগে কর্মীদের উদ্দীপিত করতে আইএনটিটিইউসির-র সভামঞ্চ থেকে হুঙ্কার দিলেন মদন, ‘ইয়ে খড়গপুর মুঝে চাহিয়ে! বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দুকে জবাব দিতেই হবে।” সভামঞ্চেই মদনের প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ, “শুভেন্দু যদি মায়ের দুধ খেয়ে থাকে, আর বাপের ব্যাটা হয়ে থাকে তাহলে নন্দীগ্রাম থেকে ইস্তফা দিক। আমিও কামারহাটি থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। ২৯৪টা বিধানসভার যেখানে বলবে সেখানেই লড়ে দেখাব।”
একেবারে টলিউডি হিরোর কায়দায় মদন মিত্র বলেন, “শুভেন্দুু মতো চোর-ছ্যাচ্চর ফেরেববাজ আর কেউ নেই। ওকে ওপেন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি, মাই কা লাল হলে আমার বিরুদ্ধে লড়ে দেখা! শের ভুখা মর যায়েগা, লেকিন চুহা নেহি খায়েগা।”
এদিন সভায় কামারহাটির রঙিলা বিধায়ক যেন জিভে চাক্কুর মতোই ধার দিয়ে এসেছিলেন। শুভান্দুকে একহাত নিয়ে তারপরেই বাক্যবাণ ছুঁড়লেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের দিকে। চাঁচাছোলা ভাষায় মদন মিত্র বলেন, “দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আর কি বলব! ওঁর তো বারমুডা খুলে যাচ্ছে। আলো মানে ফিলিপস আর পাগলা মানে দিলীপ।”
উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষকে এই কটাক্ষ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বারমুডা’ নিয়ে অপমানেরই জবাব। কার্যত ফিলিপসের সাথে তুলনা টেনে দিলীপ ঘোষকে ব্র্যান্ডেড পাগল হিসেবে ঘোষণা করলেন তিনি।
এই বাকযুদ্ধ অবশ্য এখানেই থেমে যায়নি। মদন মিত্রের বক্তব্য প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে তাঁকে বাংলার কমেডিয়ান ও স্ট্যাম্প করা মাতাল বলে উল্লেখ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, “একটা চিহ্নিত মাতালের কথার উত্তর দেওয়া খুব মুশ্কিল। সারা পশ্চিমবঙ্গ জানে ও একটা চিহ্নিত মাতাল।”
এরও পাল্টা জবাব সম্পূর্ণ নিজের কায়দাতেই দিলেন মদন মিত্র। মুখের ছিপি খুলে গলগলিয়ে বলে দিলেন,”হ্যাঁ আমি প্রথম মদ খেয়েছিলাম শুভেন্দুর বাবার সাথে। ওর বাবাই খাইয়েছিল।” মদ্যপের ঢঙে এরপর গানও শুনিয়েছেন মদন মিত্র। হেলে দুলে গেয়েছেন, “আমি রাধার মতো কলঙ্ক যে চাই!”