VoiceBharat News baishakhi

একদিকে ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি তার ওপর নুসরতের পুত্র সন্তানের বাবা হিসেবে যশ দাশগুপ্তের নাম থাকায় নেট মাধ্যমেও উঠেছে সমালোচনার ঝড় । তবে এসকল কেই পরাজিত করে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বুকে ট্রেন্ডিং এর ঝড় তুলেছে শোভন-বৈশাখী এবং রত্না চট্টোপাধ্যায় এর মধ্যে কার ত্রিমুখী কেমিস্ট্রি । শোভনকে নিয়ে বৈশাখী এবং রত্নার মধ্যে পারস্পরিক বিবাদ যেন সকল খবরকে ছাপিয়ে কলকাতাবাসী এবং গ্রামবাংলার মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে আর এর ফলে ফেসবুকে বিরাজ করছে অসংখ্য মিম ।

রত্না

ঘটনার প্রথম সূত্রপাত ঘটে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর দাবি ঘিরে । বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান , তাঁর স্বামীর অন্য কোনো মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে ; এছাড়াও তার স্বামীর সেই মহিলার সঙ্গে ভ্রমণের এবং আরো বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন শোভন বান্ধবী । ফলে তাঁর এই সিদ্ধান্তের ফলে পরবর্তীকালে প্রাক্তন কলকাতার মেয়র এবং তৃণমূল নেতা শোভনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের পথ যে তিনি আরো দৃঢ় করলেন তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি নেটিজেনদের ।

বৈশাখী আরো জানান , স্বামীর এহেন আচরণের ফলে তিনি ব্যথিত হয়েছেন এবং তিনি চান এসব থেকে মুক্তি পেতে তাই সেই কারণে ডিভোর্স এর সিদ্ধান্ত বলে সংবাদ মাধ্যমে জানান ভদ্রমহিলা । আর এরপরই শুরু হয় শোভন এবং বৈশাখীর মধ্যে সম্পর্কের রসায়ন এর নতুন সমীকরণ ! তবে বর্তমানে এই সমীকরণে জল ঢেলে দেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায় । তৃণমূল নেত্রী রত্নাদেবীর মতে তাঁর এবং শোভনের এখনো ডিভোর্স তথা বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেনি এবং বর্তমানে হোক কিংবা ভবিষ্যতে তিনি শোভনকে কোনো মূল্যে ডিভোর্স দেবেন না ফলে ডিভোর্স ছাড়া কিভাবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনকে বিবাহ করতে পারেন তা নিয়ে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি । অবশ্য এখানেই থেমে না থেকে রত্না জানান , তাঁর স্বামী শোভন বাবু একটি চিঠি লিখে তাঁর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে কাটানো দিনের অভিজ্ঞতার কথা রত্নাকে এবং তাঁর শ্বশুর দুলাল দাসকে লিখে পাঠিয়েছেন ।

স্বভাবতই রত্না দেবীর এই দাবিকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয় সর্বত্র । এরপর বৈশাখীদেবীকে এই চিঠির ব্যাপারে এবং তাঁদের দাবির ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বেশ আক্রমণাত্মক সুরে জবাব দেন । প্রকাশ্যে তিনি রত্না দেবীকে চিঠি সামনে নিয়ে আসার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন , অবশ্য এরপরে রত্নাদেবী দাবি করেন যে স্বামী এবং স্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত চিঠি প্রকাশ্যে নিয়ে আসার রুচি তাঁর বিন্দুমাত্র নেই ফলে শোভনকে ঘিরে রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিবাদ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে উত্তাল যে রাজ্য রাজনীতি তা বলা যায় ।