সবুজ সাথীর সাইকেল চুরি করে বেচে দিচ্ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ধরা পড়তেই তুমুল সংঘর্ষ। চলল গুলি। আহত ৪। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নদীয়ার হাঁসখালি।
নদীয়া জেলার অন্তর্গত কৈখালির হাঁসখালি। ওই অঞ্চলেরই বেনালি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল বিশ্বাস। ইনি আবার স্থানীয় বিজেপি নেতাও বটে।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ – ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিজেপি নেতা বিমল বিশ্বাস ও তাঁর ভাই তপন বিশ্বাস দুজনে মিলে সবুজ সাথীর সাইকেল গোপনে চুরি করে বেচে দিচ্ছিলেন। হাতেনাতে ধরা পড়তেই গুলি চালানো শুরু করেন বিজেপি নেতা ও তার ভাই।
তৃণমূলের দুজন সেই গুলিতে আহত হন।
বিজেপি নেতাদের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আহত তৃণমূলের শীলা বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে শুভম বিশ্বাস শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে তৃণমূলের ছোঁড়া গুলিতেও বিজেপি নেতা বিমল বিশ্বাসের ভাই এবং ভাইপোও আহত হয়েছেন বলে খবর। তাদের একজন কলকাতার এনআরএসে ভর্তি।
বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য সাইকেল চুরির অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি। তাঁদের মতে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েই তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব আরও জানায়, আসলে এটা পুরোনো রাগের জের। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করার পরেই তৃণমূল নেত্রী শীলা বিশ্বাস তাঁর দলবল নিয়ে বিজেপী কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছিলেন।
তৃণমূল তাদের অভিযোগে অনড়। তাঁদের বক্তব্য সবুজ সাথীর সাইকেল চোরা পথে চালান রুখতেই এই হামলা করা হয়েছে। রানাঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক সমীর পোদ্দারকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
নদীয়া জেলার পুলিশ এখনও ধন্দে রয়েছেন তৃণমূলের বিশ্বাস বনাম বিজেপির বিশ্বাসদের লড়াইয়ে কারা ঠিক বিশ্তাসযোগ্য, তার হদিশ পায়নি পুলিশ। তাই এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
স্কুলের শিক্ষক গুলি বন্দুক পেলেন কোথায়, আর বিপক্ষও বা ঠিক সময়ে বন্দুক নিয়ে হাজির হল কীকরে? এই প্রশ্নগুলোই স্থানীয় প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।