পশ্চিমবঙ্গ যা ভাবতে পারেনা ঠিক সেটাই ঘটল। দল বদল করলেন মমতা। তৃণমূল কংগ্রের সাফ জানিয়ে দিল–দলের সাথে বিরোধ ছিল ব্যক্তির সাথে নয়।
মানুষের হয়ে কাজ করার জন্য কেউ দল বদল করে এলে স্বাগত। সম্প্রতি এটাই দল পরিবর্তনের মূলমন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই বিরুদ্ধ ক্ষোভ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে একসাথে কাজ করার লক্ষ্যই প্রাধান্য পেল মমতা ও তৃণমূলের উভয়েরই কাছে।
সূত্র বলছে, আগে থেকেই সব ঠিক করা ছিল। সেই পরিকল্পনা মতোই হাওড়ার শরৎ সদনে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন হাওড়া কর্পোরেশনের ৫ বছরের মেয়র মমতা জয়সওয়াল।
এতকাল হাওড়া পুরসভার মেয়রের নানান ব্যর্থতা নিয়েই সরব ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সব ভুলে সেই মেয়রের পক্ষেই আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা সেই নিয়ে কটাক্ষ করলেও তৃণমূল কংগ্রেস পক্ষ থেকে মন্ত্রী অরূপ রায় সাফ ঘোষণা করলেন, “আমাদের আন্দোলন ছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়।”
টানা ৫ বছর মেয়র ছিলেন প্রাক্তন সিপিএমের নেত্রী মমতা জয়সওয়াল। পুরসভা সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবেও যথেষ্ট অভিজ্ঞ। কাজেই তৃণমূলে আসা এই নেত্রীর জনসংযোগের অভিজ্ঞতা মানুষের তথা দলের কাজে লাগবে বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে শুরুতেই মমতাকে দলে নিতে রাজি হয়নি হাওড়া অঞ্চলের ঘাসফুল শিবির। এবিষয়ে প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ রায়ের সাথে বর্তমান জেলা সভাপতি কল্যাণ ঘোষের মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল। তবে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব মধ্যস্থতা করে বিষয়টির মীমাংসা করেন ও মমতাকে দলে নেওয়ার পক্ষেই মত দেওয়া হয়।
এদিন তাই শরৎ সদনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সহকারে মমতা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হলেন। এর আগেই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বিধায়ক লগনদেও সিং। তাঁরই সক্রিয় ভূমিকায় এবং অরূপ রায়ের সহায়তায় তৃণমূলে যোগ দিলেন মমতা।