‘বীণা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে’, চির পরিচিত সেই পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র শোনা গেল সোনারপুরের বালক সংঘে। সরস্বতী পূজো এইসময়ে? হ্যাঁ, স্কুল খোলার উপলক্ষ্যে বিদ্যাদেবীর আরাধনায় মেতে উঠল কচিকাঁচার দল।
কোভিড চলাকালীন দীর্ঘমেয়াদী বন্ধের পর প্রায় ২ বছর পর খুলল স্কুল। সেই উপলক্ষ্যেই সোনারপুরের বৈকুন্ঠপুরের স্কুল পড়ুয়ারা এই মঙ্গলবারেই সরস্বতী পূজোর আয়োজন করল।
এর আগেই সরস্বতী পূজোয় বালক সংঘ শ্বেতপাথরের মন্দির বানিয়েছিল। এমনিতে বছরের অন্যান্য সময়েও মন্দিরে পূজোপাঠ চলে। তবে এবার বিশেষ করে স্কুল খোলার খবর পাওয়ার পর অকালেই বাগদেবীর পূজোয় মেতে উঠল সবাই। দেবীর আরাধনা দিয়েই তারা স্কুলে নতুন করে যাত্রা শুরু করতে চায়। আর তাই আলোয় সেজে উঠল বালক সংঘের মন্দির চত্বর। বেজে উঠল রবীন্দ্র সংগীত।
বালক সংঘের মন্দির কমিটির সভাপতি নিত্যানন্দ ঘোষ এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর কবিতা ঘোষ জানিয়েছেন, “রাজ্যের মধ্যে প্রথম শ্বেতপাথরের সরস্বতী মন্দির এখানেই প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বহুদিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার পর এদিন খুলেছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের মঙ্গল কামনায় এবং মা সরস্বতীর আশীর্বাদ নিতে এলাকার বহু ছাত্রছাত্রী মায়ের কাছে অঞ্জলি দিয়ে প্রার্থনা করতে এসেছে”।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বাবা মায়েরাও অংশ নিল সরস্বতী পূজোয়। গলা মেলাল পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্রোচ্চারণে। স্কুলের পরিচিত চৌহদ্দিতে ফিরতে পেরে খুব খুশি ছোটরা। অফলাইন ক্লাস যে শিক্ষার আাদানপ্রদানে কতটা জরুরি, সেই আনন্দেরই বহিঃপ্রকাশ এই সরস্বতী পূজো। বাঙালির ট্র্যাডিশনে সরস্বতীও স্কুল ‘আনলকে’ বিরাজিত স্বমহীমায়।